#সাও পাওলো: এ যেন একেবারে উল্টো পুরাণ। একটা সময় ছিল যখন মানুষ মৌমাছিদের তাড়িয়ে তাদের চাক থেকে মধু সংগ্রহ করত। কিন্তু এবার এল প্রতিশোধের পালা। মানুষের কাছ থেকে ফ্যান্টা চুরি করে যেন তারই যোগ্য জবাব দিতে ব্যস্ত মৌমাছিরা।
সম্প্রতি Twittter-এ একটি ভিডিও আপলোড করেছেন এক ব্যক্তি। দু’টি মৌমাছির ফ্যান্টার বোতল খোলার এই ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কয়েক লক্ষ ভিউও পেয়েছে এই ভিডিওটি।
বিস্ময়কর এই ভিডিওটিতে দু’টি মৌমাছিকে কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল খোলার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে। বোতলের ঢাকনাটি খোলার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বোতলের ঢাকাটিকে তারা ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘোরানোর চেষ্টাও করছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তারা বোতলের ঢাকাটি খুলে ফেলতেও সচেষ্ট হয়। যে মহিলারা এই ভিডিওটি বানান, তাঁদের পর্তুগিজ ভাষায় বলতে শোনা যায়, মৌমাছিরা তাঁরর সোডা চুরি করতে একজোট হয়েছিল।
Twittter-এ এই ভাইরাল ভিডিওটি শেয়ার করে একজন লেখেন, “এটা অবশ্যই মানবতার পক্ষে। মৌমাছিরা যদি বোতলের ঢাকনাটি এইভাবে খুলে ফেলতে পারে তবে আমার মনে হয় এটাই শেষ থেকে সূচনার সুত্রপাত।”
Well, that’s it for humanity. We’ve had a decent run but if bees have mastered the screw-top lid I think this is the beginning of the end. pic.twitter.com/XyHonJ2q73
— Michael Moran (@TheMichaelMoran) May 25, 2021
অন্য একজন Twittter ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেন যে, আমাদের উদ্বেগের প্রকৃত প্রয়োজন তখন হবে, যখন তারা কাঁচি ব্যবহারের পদ্ধতিটি আয়ত্ত করে ফেলবে। একজন ব্যবহারকারী মৌমাছিদের মধ্যে কথোপকথনের বিষয়ে কল্পনা করেন যে, বোতলের ঢাকনাটি খুলতে কী ভাবে তারা একে অপরকে সেটি ঘোরানোর জন্য নির্দেশ দিচ্ছে।
ব্রাজিলের সাও পাওলোর কারাগাটায়াতুবাতে (Caraguatatuba) রেকর্ড করা এই ভিডিওটি বর্তমানে Twittter-এ এক মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। সেই সঙ্গে প্রচুর ভাইরালও হয়েছে। এমনকি এই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে YouTube-এও।
এই ভিডিও দেখে একজন মজার মন্তব্য করেন, মানুষ মৌমাছি ভাডা করতে পারে এবং ফ্যান্টায় অর্থ দিতে পারে। এটা বন্য শোনালেও, মৌমাছিরা বাস্তবে একটি পুরস্কার পেতে পরিবেশ থেকে শিক্ষা নেয় এবং তার পরে অন্যান্য মৌমাছিদেরও সেটা করতে শেখায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একটি পরীক্ষা করেন বিজ্ঞানীরা। যেখানে মৌমাছিদের একটি বলকে কোনও স্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এবং কাজটি শেষ করলে মৌমাছিদের চিনির জল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।