সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

অজান্তেই অ্যাপে মাইক্রোফোন, ওয়েব ক্যামেরার অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন প্রতি ৪ জনে ১ জন, জানাচ্ছে সমীক্ষা

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেট সময়: রবিবার, ৩০ মে, ২০২১
  • ১৭৬ সময় দেখুন
অজান্তেই অ্যাপে মাইক্রোফোন, ওয়েব ক্যামেরার অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন প্রতি ৪ জনে ১ জন, জানাচ্ছে সমীক্ষা


#নয়াদিল্লি: অনলাইন ইউজারদের প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রায়শই নানা ধরনের অ্যাপ ও সার্ভিস চালু করতে গিয়ে মাইক্রোফোন, ওয়েব ক্যামেরা-সহ নানা টুলের অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন। আর তা অজান্তেই ঘটে যায়। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম Kaspersky-এর এক সমীক্ষায় সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এল। এক্ষেত্রে বি শ্বজুড়ে প্রায় ১৫,০০০ জনের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে অনেকটাই সচেতন মানুষজন। অধিকাংশের মনে একটা ভয় কাজ করে। তাঁদের আশঙ্কা, ওয়েবক্যামের মধ্য দিয়ে অজান্তে কেউ তাদের লক্ষ্য করছে না তো! আর ঠিক এখানেই মধ্যবয়স্ক ও বয়স্ক মানুষজনের সচেতনতা অনেকটা বেশি। প্রায় ৬০ শতাংশই নানা ধরনের ম্যালিসিয়াস সফ্টওয়্যার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।

গবেষকদের মতে, বয়স্ক মানুষজনের মধ্যে এই প্রবণতা অপেক্ষাকৃত কম। এক্ষেত্রে ২৫-৩৪ বছরের বয়সসীমার মধ্যে ২৭ শতাংশ খুব একটা চিন্তা-ভাবনা না করেই অ্যাপে মাইক্রোফোন বা ক্যামেরার অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন। কিন্তু ৫৫ বছর ও তার উর্ধ্বে প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষজন অ্যাপ বা এই ধরনের পরিষেবার ক্ষেত্রে খুব সহজে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা বা অন্যান্য টুলে অ্যাক্সেস দেন না। এই বিষয়ে Kaspersky-এর কনজিউমার প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের হেড মারিনা টিটোভা (Marina Titova) জানান, আগের থেকে অনেকটাই সচেতনতা বেড়েছে। বর্তমানে ব্যবহারকারীরা অ্যাপে কোনও রকম অ্যাক্সেস দেওয়ার আগে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করেন। তাই আগের তুলনায় ধীরে ধীরে এই সাইবার প্রতারণার হার কমছে।

বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। তা বলে বর্তমানের নানা স্মার্ট অ্যাপ থেকে দূরে থাকাটাও খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এই পরিস্থিতিতে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। অ্যাপগুলির ফিচার, ক্যাটাগরি ও তাদের পরিষেবা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। কোন অ্যাপ ঠিক কী ধরনের অনুমতি চাইছে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ধরা যাক কোনও ভিডিও কলিং অ্যাপ ক্যামেরা পারমিশন চাইছে, তাহলে তা যুক্তিসঙ্গত। এক্ষেত্রে খুব একটা ভাবার কোনও জায়গা নেই। যদি কোনও আলাদা ধরনের ই-মার্কেটিং, পেমেন্ট বা একদম অন্য ধরনের অ্যাপ ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনের পারমিশন চায়, তাহলে বিষয়টি সম্পর্কে একটু সচেতন হতে হবে। এর পিছনে ঠিক কী যুক্তি রয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে, সমস্ত দিক বুঝে-শুনে এই ধরনের অ্যাপে ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন অ্যাক্সেসের অনুমতি দিতে হবে।

নিতান্তই যদি পারমিশন দিতে হয়, তাহলে কয়েকটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ওয়েব ক্যাম ব্যবহারের সময়ে একটু নজর দিতে হবে। এই বিষয়ে Kaspersky-এর পরামর্শ, প্রয়োজনে ওয়েব ক্যাম কভার ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে যখন এই ধরনের টুল ব্যবহৃত হচ্ছে না, তখন কিছুটা হলেও সুরক্ষিত থাকা যায়। এই কভারের অ্যাডভান্স প্রোটেকশন ফিচার ডিভাইজের একাধিক জিনিস সুরক্ষিত রাখে। উল্লেখ্য PC, Mac, অ্যান্ড্রয়েড, iOS-সহ প্রতিটি ডিভাইজে সমান কার্যকরী এই সিকিওরিটি কভার।



Source link

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর