কলকাতা: ওপার বাংলার খাবারের স্বাদ? এবার সেই সুযোগ দিচ্ছে ভিভান্তা কলকাতা। ইএম বাইপাসের ধারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা শহর কলকাতার পাঁচতারা এই হোটেলের রেস্তোরাঁ মিন্ট-এ অতিথিরা খাঁটি পূর্ববঙ্গের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশি থালিতে থাকবে খাঁটি বাংলাদেশের আমিষ এবং নিরামিষ খাবারের ঢালাও আয়োজন। থালির এই মেন্যুতে থাকছে নারকেল বাটা গন্ধরাজ লেবুর শরবত, মুরগি ভর্তা, কুমড়ো ফুল মাছ বাটা, মুসুর ডালের ভর্তা। এর পাশাপাশি থাকছে মুরগির ঝুরি কাবাব, পোস্ত দিয়ে লাল শাক, বরিশাল চিংড়ির ঝোল বড়া, সর্ষে ভাপা ইলিশ, কচু লতি চিংড়ি, ঢাকাই কষা মাংস, সজনে মুসুর ডাল, ছাতুর পরোটা, ভাত, মোরগ পোলাওয়ের মতো লোভনীয় সব পদ। ভরপেট খাবারের পরে কি মিষ্টিমুখ না হলে চলে! তাই বাংলাদেশি থালিতেও থাকছে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী নানা রকম মিষ্টিও। যার মধ্যে অন্যতম হল গুড় ও ক্ষীরের পাটিসাপ্টা।
প্রত্যেকটা পদের স্বাদই মুখে লেগে থাকার মতো। তবে ঢাকাই কষা মাংসের ব্যাপারটাই আলাদা। রেসিপি জানতে ইচ্ছে করতে পারে অনেকেরই। সেই রেসিপিই শেয়ার করা হয়েছে হোটেলের তরফে। একই রকম সেই স্বাদ যাতে ঘরে বসেও অতিথিরা পেতে পারেন, তার জন্যই পাঁচতারা হোটেলের এই অনন্য উদ্যোগ।
ঢাকাই কষা মাংস তৈরির জন্য উপকরণ হিসেবে লাগবে – ৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস, ২০০ গ্রাম পিঁয়াজ কুচি, ১০০ গ্রাম আদা-রসুন বাটা, ৫০ গ্রাম কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো, ৭০ মিলিলিটার সর্ষের তেল, ১টি করে ছোট এবং বড় এলাচ, ১টি দারচিনির টুকরো, ২টি তেজপাতা, ২০ গ্রাম জিরে গুঁড়ো, ২০ গ্রাম হলুদ গুঁড়ো, ২০ গ্রাম ধনে গুঁড়ো, ১০ গ্রাম গরম মশলা গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম টক দই এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ।
এবার পাঁঠার মাংসটাকে লবন, ৫০ গ্রাম মতো আদা-রসুন বাটা এবং টক দই দিয়ে মাখিয়ে ভাল করে ম্যারিনেট করে রেখে দিতে হবে। একটি বড় প্যানে সর্ষের তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে। হালকা ঘ্রাণ বেরোলে পেঁয়াজ কুচি এবং বাকি আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
মাঝারি আঁচে মশলাটা হালকা বাদামী হওয়া পর্যন্ত তা ভাজতে হবে। এর পর প্রত্যেকটা গুঁড়ো মশলা যোগ করে ভাল করে ভাজতে হবে, যাতে মশলার কাঁচা গন্ধ বেরিয়ে যায়। এর পর তার মধ্যে ম্যারিনেট করা মাংসটা দিয়ে ২ মিনিট মতো কষাতে হবে। পেঁয়াজটা গাঢ় বাদামি হয়ে গেলে গরম জল যোগ করতে হবে। মাংসটা যতক্ষণ না নরম হচ্ছে তত ক্ষণ ঢাকনা চাপা দিয়ে রান্না করতে হবে। বাষ্প বেরোতে থাকলে গরম মশলা গুঁড়ো যোগ করে আঁচ বন্ধ করতে হবে। এর পর গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
Executive Chef Sumalya Sarkar
এই প্রসঙ্গে একজিকিউটিভ শ্যেফ সুমাল্য সরকারের বক্তব্য, “বাংলাদেশি থালিতে থাকবে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের অতুলনীয় স্বাদের খাবার। তাতে থাকবে মা-ঠাকুমাদের হাতের ছোঁয়া। তাঁরা টাটকা-তাজা স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করেই দুর্দান্ত ভাবে সেই চিরাচরিত প্রক্রিয়ায় রান্না করতেন এবং তাঁর স্বাদ পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও একই ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাই এই বাংলাদেশি থালির বিষয়ে আমরা ভীষণই আত্মবিশ্বাসী।”
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangladeshi, Local Food, Taj Bengal