আন্তর্জাতিক ডেস্ক
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও )। একইসঙ্গে নামকরণের পদ্ধতিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলোর নামকরণ হবে গ্রিক বর্ণ দিয়ে। ইতিমধ্যে শনাক্ত হওয়া ভ্যারিয়েন্টগুলোর নতুন নামও দেওয়া হয়েছে। যেমন যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের নাম আলফা, দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্টের নাম বিটা ও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের নামকরণ হয়েছে ডেল্টা।
মূলত করোনাভাইরাসের সঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাম না জড়াতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যারিয়েন্টের নামের সঙ্গে কোনো দেশের নাম জুড়ে দেওয়া উচিত নয়। কোনো দেশ যদি কোনো ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করে প্রথম ঘোষণা করে তাহলে তারা সেই কলঙ্কের ভাগীদার নয়।
এছাড়া এমন নাম দিয়ে ভ্যারিয়েন্টগুলোকে সহজে চিহ্নিত করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়ায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ফন কারখোভ। তিনি বলেন,নতুন নামগুলো ভ্যারিয়েন্টের বৈজ্ঞানিক নামকে অপসারিত করবে না। নতুন নাম শুধুমাত্র আলোচনার সময় সহজে ব্যবহার করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।
Today, @WHO announces new, easy-to-say labels for #SARSCoV2 Variants of Concern (VOCs) & Interest (VOIs)
They will not replace existing scientific names, but are aimed to help in public discussion of VOI/VOC
Read more here (will be live soon):
https://t.co/VNvjJn8Xcv#COVID19 pic.twitter.com/L9YOfxmKW7— Maria Van Kerkhove (@mvankerkhove) May 31, 2021
চলতি মাসের শুরুতে ভারত সরকার সেদেশে প্রথম শনাক্ত হওয়া B.1.617.2 নামটি নিয়ে সমালোচনা করে। এ ভ্যারিয়েন্টটি গত অক্টোবরে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল বলে এর নাম দেওয়া হয় ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও এ ধরণের নাম গ্রহণ করেনি।
সারাবাংলা/আইই