Advertise here
মঙ্গলবার , ৯ জুলাই ২০২৪ | ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

কোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারি পণ্য

প্রতিবেদক
bdnewstimes
জুলাই ৯, ২০২৪ ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : নানা জটিলতায় যথাসময়ে খালাস ও পরবর্তীতে নিলাম না হওয়া ৮৫টি গাড়ি কেটে ভাঙারি পণ্য বানাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এরপর সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হবে।

এসব গাড়ির মধ্যে আছে, পাজেরো, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, টয় কার, নিশান জিপ, ডাম্প ট্রাক, ডাবল কেবিন পিকআপ, মিনি পিকআপ ভ্যান, এলপি গ্যাস ভাউচার, এসি বাস, মিনি কাভার্ড ভ্যান, প্রাইমমুভার, সুইপার লরি ও কনক্রিট মিক্সার।

জানা গেছে, নগরীতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শেডে এক সপ্তাহ ধরে শিল্পগ্রুপ পিএইচপির শ্রমিকরা গাড়িগুলো গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে স্ক্র্যাপ বানানোর কাজ করছেন। কেটে স্ক্যাপ বানানোর তালিকায় আছে মোট ১৮৬টি গাড়ি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ কাটা হয়েছে ৬০টি গাড়ি। দুয়েকদিনের মধ্যে আরও ২৫টি গাড়ি কাটা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, এসব গাড়ি দীর্ঘসময় ধরে নিলাম শাখায় পড়ে ছিল। এগুলো বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদন নিয়ে গাড়িগুলো কেটে ভাঙারি পণ্য বানিয়ে বিক্রির উপযোগী করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে আমদানি পণ্য নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমসের নিলাম শাখায় আরএল (অখালাসকৃত চালানের তালিকা) প্রেরণ করে। তখন নিলাম শাখা সংশ্লিষ্ট আমদানিকারককে নোটিশ দেয়। নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যেও পণ্য সরবরাহ না নিলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিলাম না হওয়ায় কারণে বন্দর ইয়ার্ডে কিংবা কনটেইনারে অথবা নিলাম শাখার হেফাজতে থাকা পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মামলা, মিথ্যা ঘোষণায় আনা, শুল্কফাঁকিসহ আরও বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস নেননি। আইনি জটিলতায় যথাসময়ে সেগুলোর নিলামও হয়নি। খোলা ময়দানে রাখা গাড়িগুলো রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়। বিআরটিএ সেগুলো বিক্রি এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হিসেবে ধ্বংসের সুপারিশ করে।

২০২২ সালের ২৮ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাস্টমসের নিলাম শাখা সেগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে।

তবে সেগুলো ধ্বংসের আগে একটি কাস্টমস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সেগুলো আশি লাখ টাকায় কেনার আবেদন করে। গাড়িগুলো কিনে ইঞ্জিনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কিনে বিক্রির প্রস্তাব ছিল তাদের। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এতে আইনের ব্যত্যয় হবে জানিয়ে বিআরটিএ আপত্তি করে। এর ফলে কাটার আগে গাড়িগুলো বিক্রি করা যায়নি।

সারাবাংলা/আরডি/এনইউ





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন

Advertise here