বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মাইক্রো ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ কে এম আকবর কবির প্রথম আলোকে বলেন, নমুনা পরীক্ষার চাপ বেশি বলে অনেক নমুনা ঢাকায় পাঠাতে হয়। ঢাকায় নেওয়া, পরীক্ষা ও ফল পেতে অনেক সময় লেগে যায়।
উপসর্গ নিয়ে মৃতের তালিকায় যাঁদের নাম ওঠানো হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এসব রোগীর জ্বর, সর্দি ও কাশির মতো উপসর্গও থাকছে। তবে তা শুরুর দিকে বেশি দেখা যায়। পরে রোগীর তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, গলাব্যথা, ঘ্রাণশক্তি না থাকা ও স্বাদ না পাওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের একজন জিনাত আলী ফকির। তাঁকে গত ৭ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ছেলে মো. জাকারিয়া বলেন, ‘বাবা খুব বেশি অসুস্থ ছিলেন না। ৮ জুলাই সকালে বাবার করোনার নমুনা দেওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি মারা যান। মৃত্যুর দুই দিন পর মুঠোফোনে খুদে বার্তা আসে যে বাবা করোনা পজিটিভ ছিলেন।’
কারও কারও ক্ষেত্রে সব উপসর্গ থাকার পরও পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ আসছে বলে উল্লেখ করেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীরা শ্বাসকষ্ট, কাশিসহ খুব খারাপ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের করোনার সব উপসর্গ থাকে। তবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় কোনো কোনো করোনা শনাক্ত হয়নি বলে দেখা যায়।