আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণও বাড়ছে। ইতিমধ্যে দেশটিতে ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
মূলত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ খুবই বিরল। তবে সম্প্রতি ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মাঝে এ সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেলেও অনেকেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর আশঙ্কা ৫০ ভাগ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখ অপসারণ করে রোগীকে বাঁচাতে হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এই রোগকে বলা হয় মিউকোরমাইকোসিস।
ভারতের রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করলে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া ডায়বেটিসে আক্রান্ত করোনা রোগীদের মধ্যেও এ সংক্রমণ হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ভারতের চিকিৎসকরা সংবাদমাধ্যমে বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠার ১২ থেকে ১৮ দিনের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে।
এ পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের শহর গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, এছাড়া ভারতের আরও অন্তত ১৫টি রাজ্যে ৮ থেকে ৯০০ জন পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের ২৯ টি রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতের হাসপাতাল বিভাগের ওষুধ শাখার প্রধান ডা. ভিপি পান্ডে বলেন, ‘এ রোগে আক্রান্ত ৮০ শতাংশেরই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যে ভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বেড়েছে, তাতে আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না’।
তিনি বলেন, ‘এখন করোনার চেয়েও জটিল রোগ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ। যদি রোগীদের সময় মতো চিকিৎসা দেওয়া না যায়, তাহলে মৃত্যুর হার ৯৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এবং এর ওষুধেরও ঘাটতি রয়েছে’।
সারাবাংলা/আইই