1/ 5
ওয়াশিংটন: মহাকাশচারীদের জীবনে বিনোদনের যে কোনও অবসর থাকে না, সে আর কে না জানেন! সত্যি কথা বলতে কী, তাঁরা যাচ্ছেন কাজে, যেমনটা আমরা অফিস ট্যুরে যাই আর কী! অতএব, সেখানে মনোরঞ্জনের যুযোগ নৈব নৈব চ! কিন্তু মানুষ যদি দুই কী একদিনের জন্য পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যে যায়, তন কোনও বিনোদনের উপাদান না পেলে কি তার মন ভরবে?
2/ 5
ভরবে যে না, সেটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে অরবিট্যাল অ্যাসেম্বলি কর্পোরেশন (Orbital Assembly Corporation)। তাই তারা নিজেদের ভয়েজার (Voyager) স্পেস স্টেশনে এই এক নামের যে স্পেস হোটেল খুলতে চলেছে, সেখানে মানুষের বিনোদনের কোনও উপকরণই বাদ রাখতে চায় না! তাই তাদের দেওয়া খবর বলছে যে সংস্থা মহাশূন্যে যে হোটেল বানাতে চলেছে, সেটা একেবারে পৃথিবীর আর পাঁচটা পাঁচতারার মতোই হবে।
3/ 5
সেখানে থাকবে শোওয়ার ঘর, রেস্তোরাঁ, বার, সিনেমা হল, লাইব্রেরি, কনসার্ট ভেন্যু, জিম, স্পা- সব কিছুই! আর এই সবের মাঝে মাঝে থাকবে লম্বা লাউঞ্জ, যেখান থেকে পৃথিবীর শোভা উপভোগ করা যাবে। শুধু জলের অসুবিধার কথাটা মাথায় রেখে মহাশূন্যের এই পাঁচতারায় কোনও পুল থাকবে না!
4/ 5
না-ই বা থাকল, দিন কয়েকের জন্য পৃথিবী ছেড়ে বেরিয়ে যদি এত কিছু পাওয়া যায়, তাহলে মাত্র একটা অসম্পূর্ণতা নিয়ে কেউ বড় একটা অভিযোগ করবেন বলে মনে হয় না। সেই দিক থেকে সংস্থাও পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। তাই তারা ২০২৫ সাল থেকেই NASA-র বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল নিয়ে এই মহাশূন্যের পাঁচতারা তৈরির কাজ শুরু করে দেবে বলে জানিয়েছে। অরবিট্যাল অ্যাসেম্বলি কর্পোরেশনের দাবি- ২০২৭ সালের মধ্যেই এই মহাশূন্যের হোটেল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
5/ 5
তবে এই হোটেলের মাধ্যাকর্ষণ টান পুরোপুরি মহাকাশের মতো হবে না বলেই জানিয়েছে সংস্থা। কেন না, মহাশূন্যের জিরো গ্র্যাভিটিতে নড়াচড়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ট্রেনিং নেন মহাকাশচারীরা, সেই ব্যাপারটা পর্যটকদের ক্ষেত্রে থাকবে না। তাঁরা অভ্যস্ত নন বলে হোটেলের ভিতরে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের টান বজায় রাখা হবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে, জানিয়েছে সংস্থা। আরও জানিয়েছে যে এই হোটেল পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার পাক খেয়ে আসবে। তার গায়ে থাকবে নানা পডস, চাইলে গবেষণার জন্য সরকার তা ভাড়া নিতে পারে।