ডেস্ক রিপোর্ট::মেট্রোরেলকে ঘিরে রাজধানীজুড়ে যোগাযোগের হাব তৈরির পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পকে লাভজনক করতে স্টেশন থেকে নামলেই বিনোদন পার্ক, নিত্যপণ্যের বাজার, শপিংমলসব অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে যাত্রীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে মেট্রো হাব স্টেশন। প্রাথমিকভাবে উত্তরায় স্টেশন-২ এর কাছে এই হাব স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। এক দশক আগেও যা ছিল স্বপ্নের মতো। এখন তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। জাপান থেকে আসতে শুরু করেছে মেট্রো রেলের কোচও।
কিন্তু মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলনামূলক অনেকে বেশি। তাই লোকসান কমাতে বাড়তি সুবিধা হিসেবে হাব ষ্টেশন তৈরি করে আয়ের পথ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। আর হাব স্টেশন নির্মাণের জন্য ২৮ একর জমি কিনেছে মেট্রোরেল। ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিডের আওতায় ছয়টি লাইনের শুরুতেই একটি করে মোট ছয়টি হাব স্টেশন করতে চায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা এখানে একটা বিনোদন পার্কের ব্যবস্থা করতে চাই। একটা ফুড কোর্টও থাকবে। চিলড্রেন জোনেরও একটা ব্যবস্থা রাখব।’
এছাড়া প্রতিটি স্টেশনে একটি করে স্টেশন প্লাজা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উত্তরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণ করতে চায় মেট্রোরেল।
প্রকল্পটি নকশার কাজ শেষ হলে, দেশি-বিদেশি অর্থিক সহযোগিতায় তৈরি হবে দেশের প্রথম আধুনিক হাব স্টেশন।