আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রুয়ান্ডা গণহত্যায় তার দেশের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। ১৯৯৪ সালের ওই গণহত্যায় ফ্রান্সের দায় আছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে ফ্রান্স দাফতরিকভাবে ক্ষমা চাইবে কি না তা উল্লেখ করেননি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।
রুয়ান্ডা সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে নম্রতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের দায়গুলো স্বীকার করে নিতে আমি এখানে এসেছি’।
বৃহস্পতিবার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে অবস্থিত জেনোসাইড মেমোরিয়ালে এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। ওই বধ্যভূমিতে ১৯৯৪ সালে গণহত্যার শিকার তুতসি জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘ওই রাতগুলো যাদের পার করতে হয়েছিল, তারাই কেবল ফ্রান্সকে ক্ষমা করে দিতে পারে’।
তবে তার বক্তব্যে ম্যাখোঁ উল্লেখ করেন, ফ্রান্স নিজে ওই গণহত্যা ঘটায়নি। গণহত্যাকারীদের সহায়তাও করেনি। কিন্তু গণহত্যার হুঁশিয়ারিতে কান দেয়নি তার দেশ।
ওই অনুষ্ঠানে রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে তার বক্তব্যে বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক দায় স্বীকারের চেয়ে তার (ইমানুয়েল ম্যাখোঁর) কথাগুলোর মূল্য কোনো অংশে কম নয়। তিনি যা বলেছেন তার সবই সত্য। তিনি দায় স্বীকার করে সাহসের পরিচয় দিয়েছেন’।
১৯৯৪ সালে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় সংখ্যালঘু তুতসি জাতিগোষ্ঠীর উপর সংখ্যাগুরু হুতুরা এক নির্বিচার গণহত্যা চালায়। ওই বছরের ৬ এপ্রিল থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তুতসি জাতিগোষ্ঠীর অন্তত ৮ লাখ মানুষ নিহত হয়।
সেসময় রুয়ান্ডায় ফ্রান্সের রাজনৈতিক প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে হুতু সরকারের মিত্র ছিল প্যারিস। গণহত্যা শুরুর পর রুয়ান্ডা থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিলেও ওই গণহত্যা ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ফ্রান্স। এছাড়া সে সময় হুতু সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রতি ফ্রান্সের সমর্থন ছিল বলেও অভিযোগ আছে।
এদিকে শুক্রবার ফ্রান্সের প্রতিবেশী জার্মানিও সাবেক উপনিবেশ নামিবিয়ায় চালানো গণহত্যা স্বীকার করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
সারাবাংলা/আইই