মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন

সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হবে উচ্চকক্ষ: আখতার

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭২ সময় দেখুন
সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হবে উচ্চকক্ষ: আখতার


ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সংসদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বারবার সংবিধান পরিবর্তনের যে প্রবণতা বাংলাদেশে দেখা গেছে, তা থেকে উত্তরণের একটি উপায় হতে পারে উচ্চকক্ষ। উচ্চকক্ষ সাংবিধানিক সংকটের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘অতীতে দেখা গেছে, সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নিজেদের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করেছে, এমনকি প্রধান বিচারপতির বয়সসীমা পরিবর্তনের মতো সংবিধান সংশোধনী এনে এক-এগারোর পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ কি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারবে?’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এ সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হয়। কিন্তু পরে একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা বাতিল করে। এভাবে সংবিধানকে ব্যবহার করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নজির আমাদের দেশে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চকক্ষ কার্যকর করতে হলে প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। তা না হলে এটি কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে না। যেহেতু এককভাবে কোনো দল উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, তাই অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হবে না। এটাই হবে উচ্চকক্ষের মূল শক্তি।’

তিনি বলেন, ‘উচ্চকক্ষ চূড়ান্তভাবে কোনো আইন আটকে রাখতে পারবে না, তবে যে পরিসর সৃষ্টি করবে—তাতে আইন প্রণয়নের আগে গভীর আলোচনা ও মতামত গ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে। এটি সংসদকে আরও জবাবদিহিমূলক করবে এবং অতীতের মতো সাংবিধানিক সংকট এড়াতে সহায়ক হবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমরা একটি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। আমরা চাই, সংসদ আরও জবাবদিহিমূলক হোক।’

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহান। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা রুবেল, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আয়োজকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংলাপটি কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী ধাপে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।





Source link

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর