সোমবার , ১৯ জুলাই ২০২১ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

মুখের ক্যান্সার জানার এক বছরের মধ্যেই ৫০ শতাংশ রোগী মারা যান!

প্রতিবেদক
bdnewstimes
জুলাই ১৯, ২০২১ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ


#কলকাতা: পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে প্রতি ঘণ্টায় ৫ জন মুখের ক্যানসারে মারা যান, প্রতি দিনের হিসাবে ১২০ জন। শুধু তাই নয়, মুম্বইয়ে টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারের (Tata Memorial Centre) পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ভারতে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত অর্ধেক রোগী রোগ নির্ণয়ের এক বছরের মধ্যে মারা যান। মারণ রোগের এই প্রকারভেদে ৩০-৪০ বছর বয়সীরাই সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হন, যার ফলে দেশের বিপুল উৎপাদনশীলতার ক্ষতি হয়। ‘ওরাল ক্যানসারের অসুস্থতা বিশ্লেষণের খরচ’-এই শিরোনামের টাটার একটি গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

টাটার পক্ষ থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধারাবাহিক ভাবে ১০০ জন মুখের ক্যানসারের রোগীর উপরে সমীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এই ক্যানসারে চিকিৎসাধীন বেশিরভাগ মানুষই বেকার হয়ে যাওয়ায় তাঁদের পরিবারের উপর একটি আর্থিক বোঝা হয়ে পড়েন। দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগই মুখের ক্যানসারের শিকার হওয়া রোগীরা পরিবারের প্রধান রোজগেরে মানুষ। তাই প্রত্যেক বছর দেশের বিপুল উৎপাদনশীলতার ক্ষতি হয়। এমনকি আর্থিক দায়গ্রস্ত হয়ে অনেকে পরিবারকে সঙ্কটে ফেলে রেখে আত্মহত্যাও করেন।

প্রসঙ্গত, মুখের ক্যানসারের চিকিৎসার বার্ষিক খরচ ২০০ কোটিরও বেশি। তবে এটি শুধু হাসপাতালের খরচা। পাশাপাশি রোগীদের টাটা মেমোরিয়াল অথবা ভারতের যে কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা করার পাশাপাশি থাকার ও যাতায়াতের জন্য আরও অনেক খরচ দিতে হয়। এমনই মত প্রকাশ করেছেন টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে মাথা ও ঘাড়ের সার্জারি বিভাগের সার্জন এবং সংশ্লিষ্ট সমীক্ষার নেতৃত্বে থাকা পঙ্কজ চতুর্বেদী (Pankaj Chaturvedi)। এমনকি স্বাস্থ্য বিমা কিংবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হলেও রোগীদের এই অর্থসঙ্কটের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কারণ এই ধরনের বিমাগুলি সমস্ত খরচ দেয় না। ফলে রোগীদের নিজের পকেট থেকেই চিকিৎসার বেশিরভাগ খরচ চলে যায়।

আবার মুখের ক্যানসারের ৬০-৮০% রোগী অ্যাডভান্সড পর্যায়ে গিয়ে স্পেশালিষ্ট অঙ্কোলজিস্টের পরামর্শ নেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণার ফলাফল অনুসারে, প্রাথমিক ও অ্যাডভান্সড ক্যানসারের প্রতি ইউনিটের ব্যয় গুণ করে, বিমা প্রকল্প, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের ব্যয় ধরে, রোগীদের নিজেদের পকেটের বাইরে অর্থ প্রদান অথবা দাতব্য অনুদান অথবা এই সব কিছুর খরচের নিরিখে মুখের ক্যানসারে চিকিৎসায় ভারত ২০২০ সালে প্রায় ২৩৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। যা ২০১৯-২০ সালে সরকারের তরফে স্বাস্থ্যের বাজেটে তাৎপর্যপূর্ণভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আগামী দশ বছরে এটি দেশের পক্ষে ২৩,৭২৪ কোটির আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়াবে বলে জানা গিয়েছে।

সর্বোপরি, মুখের ক্যানসারের চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধই সব চেয়ে ভালো উপায়। অর্থনৈতিক প্রভাবের জন্য প্রতিরোধই একমাত্র প্রশমন কৌশল হওয়া উচিত। যেহেতু বেশিরভাগ মুখের ক্যানসার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তামাক কিংবা সুপুরি জাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে হয়, তাই সামান্য সতর্ক হলেই অনায়াসে রুখে দেওয়া যায় ওরাল ক্যানসার।



Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা