শনিবার , ১ জানুয়ারি ২০২২ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক: জি এম কাদের

প্রতিবেদক
bdnewstimes
জানুয়ারি ১, ২০২২ ৭:০৭ অপরাহ্ণ


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। নির্বাচনে ভিন্নমতাবলম্বীদের মাঠে দাঁড়াতে দেয় না ক্ষমতাসীনরা। ক্ষমতার জোরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে চায় তারা। কোথাও কোথাও ক্ষমতাসীনরা প্রশাসনের সহায়তায় কলুষিত করছে নির্বাচনী ব্যবস্থা। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনে ভোট ডাকাতি ও অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এক সময় নির্বাচন ছিলো উৎসবমুখর, এখন নির্বাচনে হচ্ছে ভয় আর আতঙ্কের নাম। তাই সাধারণ জনগণের কথা নূর হোসেনের ভাষায় বলতে চাই, ‘স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, ‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কথা প্রতিধ্বনি করে আরও বলতে চাই, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা, নতুন করে আজ শপথ নিলাম।’ শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় জি এম কাদের এ সব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব সাঈদুর রহমান টেপা ও শেখ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

জি এম কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। এরশাদের শাসন আমলে বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল। ওই সময় দেশে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আজ দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসনের নির্বাচন দেখছে। রক্তাক্ত নির্বাচন দেখছে। দেশের মানুষ রক্তাক্ত নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ খুনোখুনির নির্বাচন পছন্দ করে না। ক্ষমতা ও কালো টাকার খেলায় দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা কলুষিত হয়েছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন আইন না হওয়াও লজ্জাজনক।’

তিনি গণতন্ত্রের ব্যাখা দিয়ে বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা/অনিচ্ছার প্রতিফলন সরকারি কর্মকাণ্ডে থাকাই গণতন্ত্রের চর্চ্চা। সে হিসেবে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি তাদের শাসন আমলে গণতন্ত্রের চর্চা করে গেছেন। এখন প্রশ্ন আসে এরশাদ ও জাতীয় পার্টি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন কিনা? এরশাদকে যখন দেশের দায়িত্বভার অর্পন করা হয়, তখন দেশবাসী এটিতে কোনো বাধার সৃষ্টি করে নাই; বরং উল্লসিত হয়েছে। প্রকাশ্যভাবে সমর্থন দিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ, বেশির ভাগ মানুষ অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রায় সকলেই এর পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ও পরবর্তীতে এমনকি কারা অভ্যন্তরে থেকেও বারং বার বিভিন্ন স্থান থেকে একসঙ্গে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তার জীবদ্দশায় কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। মৃত্যুর সময় উনি সংসদে বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। এমন কোনো যুক্তি/প্রমান কেউ দেখাতে পারবে না যে উনি ও জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ জনগণের প্রতিনিধি নন।’

কাদের বলেন, ‘এরশাদ ও তার প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। জনগণের ইচ্ছা,অনিচ্ছার প্রতিফলন সর্বদাই সেই রাজনীতিতে ছিল, কর্মকাণ্ডে ছিল। উনি সারাজীবন গণতন্ত্রের চর্চা করে গেছেন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। জাতীয় পার্টির প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-র, এরশাদের ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিয়ে অপ্রচার যে কত বড় জঘন্য মিথ্যাচার করেছে। মিথ্যাচারে বাস্তবে কোনো ফল হয়নি। আমৃত্যু উনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মুত্যুর ঠিক পূর্ব দিনগুলো ও মৃত্যুর পর সারা দেশে অগণিত মানুষ তার জন্য যে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার নজির পাওয়া দুষ্কর।’

বিরোধীদলের উপনেতা বলেন, ‘নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়। কিন্ত পরিতাপের বিষয় হলো যে, বৈষম্য, বঞ্চনা ও শোষন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য স্বাধীনতার সংগ্রাম হলো তা বাস্তবে লাভ করা গেল না। মুক্তি পাওয়া গেল না বৈষম্য থেকে, বঞ্চনা থেকে, শোষণ থেকে।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দলীয়করণের মাধ্যমে সরকারে গিয়ে বৈষম্যের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলো। নিজেদের দলীয় মানুষদের চাকরি, ব্যবসা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিজেরা ভাগ করে নেওয়া শুরু করল। দেশের সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেল না কোনোক্ষেত্রেই, মেধার মূল্যায়ন হলো না, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততার মূল্যায়ন হলো না। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দিন দিন বাড়তেই থাকল। দেশের সম্পদ দুর্নীতির মাধ্যমে লুণ্ঠন করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচার করা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত থাকল। মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে মূলনীতি যে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়ার কথা গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা, তারমধ্যে বাস্তবে শুধু ধর্ম নিরপেক্ষতা ছাড়া বাকিগুলো বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নীতিমালা থেকে অবলুপ্ত বা অবলুপ্তের পথে।’

তিনি দেশের বর্তমান পরিস্তিতি সর্ম্পকে বলেন, ‘দেশে কোটি কোটি বেকার, কর্মসংস্থান নেই। অভাব অনটনে যুব সমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিলে দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের বিল বাড়ছে, কিন্তু মানুষের আয় বাড়ছে না। পরিবার নিয়ে জীবন যাপনে হাপিত্যেশ উঠেছে সাধারণ মানুষের। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেলে তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে দেশে তেলের দাম কমানো হয় না।’

কৃষক যে ফসল ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করে, সেই ফসল রাজধানীতে হাত ঘুরে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বলেন জি এম কাদের।

জি এম কাদের বলেন, ‘বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে গণপরিবহনের নৈরাজ্য থামছে না। গণপরিবহন কে নিয়ন্ত্রণ করছে বিষয়টি পরিষ্কার নয়। সরকার গণপরিবহন চালাচ্ছে এটি দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, গণপরিবহণ যারা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে তাদের নিজেদের স্বার্থে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে চাঁদাবাজদের হাতে। চাঁদা না দিয়ে কেউ নিজের জমিতে বাড়িও করতে পারে না। কৃষিপণ্য সরবরাহে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। ফুটপাতে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অসহায়, দেখার যেন কেউ নেই। এ গুলোর মূল কারণ সরকারের জবাবদিহিতার অভাব, সার্বিকভাবে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি।’

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় জিডিপি বেড়েছে, জিডিপি বাড়লে মানুষের পেট ভরে না। দেখা যাচ্ছে, জিডিপি বাড়লে সাধারণ মানুষের উপকার হয় না, তাই জিডিপি নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। জিডিপি বৃদ্ধির বা উচ্চ মাত্রার প্রধান সুফল চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ সেটি তেমন হারে বাড়ছে না। বেকার সমস্যার সমাধানে প্রবৃদ্ধির কোন ভূমিকা লক্ষ্যণীয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। কেননা এ দু’টি দল অপকর্ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, লুণ্ঠনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে চলেছে। ক্ষমতার পরিবর্তনে এ অবস্থার পরিবর্তন হয় না। দেশের মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প শক্তি হিসেবে মনে করছে। তারা জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।’

প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশে বেশি গণতন্ত্র, সুশাসন আর উন্নয়ণ দিতে পেরেছে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ভবিষ্যতেও দিতে পারবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হচ্ছে অচল পয়সার এপিঠ-ওপিঠ। দেশের মানুষ চায় চকচকে নতুন পয়সা। জাতীয় পার্টির মতো রাজনৈতিক শক্তির দিকে তাকিয়ে আছে দেশের মানুষ।

আলোচনা সভায় তিনি সরকারের কাছে ৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে দলে বলেন, আমরা মনে করি, গণতন্ত্র চর্চার স্বার্থে সংবিধানে নিম্মবর্নিত সংশোধন, সংযোজন ও সহায়ক আইন প্রণয়ন আবশ্যক।
১. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল বা নমনীয় করতে হবে (সংসদ সংক্রান্ত; সংসদ সদস্যদের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে হবে)।
২. সংবিধানের ১১৬ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করতে হবে (বিচার বিভাগ সংক্রান্ত; অধস্থন আদালত পরিচালনা করবে উচ্চ আদালত ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নির্বাহী বিভাগ নয়)।
৩. সংবিধানের ৯৫ (২) গ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে (বিচার বিভাগ সংক্রান্ত; উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা ও সেখানে প্রধান বিচারপতি ও উচ্চ আদালতের প্রাধান্য থাকতে হবে)।
৪. সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে (নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত; নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের যোগ্যতার নীতিমালা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করার উদ্দেশ্যে)।
৫. সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়ন করতে হবে (নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত; নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের ওপর কর্তৃত্ব দেওয়া বাস্তবায়নের জন্য)। এ ছাড়া ১.রাষ্ট্রের সকল সুবিধা গণমানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। ২.আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি নির্বাচন পদ্ধতি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলন করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত হবে। নির্বাচন অনেকাংশে ক্ষমতা, পেশীশক্তি আর কালোটাকার প্রভাব মুক্ত হবে।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এরশাদ ক্ষমতায় থাকার জন্য পার্টি গঠন করেননি। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য পার্টি গঠন করেছিলেন।

দলটির সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, জাতীয় পার্টির উপর অনেক জুলুম নির্যাতন হয়েছে। জাপা টিকে আছে। জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করছে। আগামীতে জাপা অবশ্যই ক্ষমতায় যাবে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, ‘আমরা কারও নেতৃত্বে জোটে যাব না। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে যদি কেউ আসে তখন ভেবে দেখব। জনগণ চায় জাতীয় পার্টি ৩’শ আসনে প্রার্থী দিয়ে ক্ষমতায় আসুক।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, ‘স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া গেলে বিএনপি অনেক আগেই ক্ষমতায় যেতো। স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যায় না।’

পার্টির অপর কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা তার বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় পার্টি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, করে উন্নয়নের রাজনীতি। এরশাদ শাসনামলের উন্নয়নের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা