শুক্রবার , ২৮ অক্টোবর ২০২২ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

৩০ বছরে ৭০ নারীকে হত্যা— বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ মেয়ের

প্রতিবেদক
bdnewstimes
অক্টোবর ২৮, ২০২২ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ বছরে ৭০ নারীকে নারীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি’র বিরুদ্ধে। নিজের বাবার বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তারই মেয়ে লুসি স্টাডি।

যদি এই অভিযোগ সত্যি হয় তবে ‘মার্কিন পেশাদার খুনি’র তালিকায় অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবেন ডোনাল্ড ডিন স্টাডি! লুসি স্টাডি আরও অভিযোগ করেছেন, কেবল খুনই নয়, সেসব মৃতদেহগুলো মাটির নিচে পুঁতে ফেলতেও তিনি ও তার ভাই-বোনদের বাধ্য করেছেন তার বাবা।

যদি এই নারীর অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি খুন করার রেকর্ড গড়বেন ডোনাল্ড ডিন স্টাডি। খবর নিউজ উইক।

নিউজ উইকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারী ওই নারীর নাম লুসি স্টাডি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি কোথায় লাশগুলোকে কবর দেওয়া হয়েছে।’

লুসি জানান, তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি প্রায় ৩০ বছর ধরে অন্তত ৭০ জন নারীকে খুন করেছেন। শুধুমাত্র খুনই নয়, তাদের দিয়ে সেই মৃতদেহ কবরও দেওয়াতেন।

৩০ বছরে ৭০ নারীকে হত্যা— বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ মেয়ের
প্রাথমিকভাবে দেশটির স্থানীয় পুলিশের অনুমান, মূলত যৌনকর্মীদের খুন করা হত। নানাভাবে লোভ দেখিয়ে এই নারীদের নিজের বাড়িতে ডেকে আনতেন ডোনাল্ড। তারপরই খুন করতেন তাদের।

লুসি আরও জানান, তার বাবা ডোনাল্ড ডিন স্টাডি ২০১৩ সালে ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। তিনি বলেন, ‘ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হতো ওই নারীদের। তারপরই ছেলেমেয়েদের ডেকে নিতেন ডোনাল্ড। ঠেলাগাড়িতে সেই মৃতদেহ তুলে নিয়ে কুয়োর মধ্যে বা পাহাড়ে ফেলে দেওয়া হত।’

ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে লুসি জানান, বাবা শুধু বলতেন, কুয়োর কাছে চলে যাও। এরপরেই আমরা বুঝে যেতাম কী করতে হবে। কোন জায়গায় মৃতদেহগুলো পোঁতা হয়েছিল, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে দিয়েছেন লুসি। শুধুমাত্র প্রাণের ভয়ে বাবার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেননি বলেও জানান তিনি।

৩০ বছরে ৭০ নারীকে হত্যা— বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ মেয়ের

লুসি আরও জানান, অনেক লাশ ১০০ ফুট কুয়োর মধ্যে দাফন করা হয়। তবে তার বাবা মৃতদেহগুলোর সোনার দাঁত ট্রফি হিসেবে রেখে দিতেন বলে জানান তিনি।

তবে এসব অভিযোগ নিয়ে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। স্থানীয় পুলিশের প্রধান কেভিন এইস্ট্রোপ বলেছেন, আপাতত ওই জায়গায় কুকুরদের নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ওই জায়গায় সত্যিই প্রচুর মৃতদেহ রয়েছে। কিন্তু এখনই কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদি এই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক খুনের অভিযোগ থাকবে ডোনাল্ডের নামে।

সারাবাংলা/এমও





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা