সাকিব আল হাসান নাহিদ, জামালপুর।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে আসাদ উল্লাহ ওরফে নিদু কাজী (৪৯) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করছে র্যাব-১৪ জামালপুর।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোরে জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার নলকা এলাকা থেকে দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে হাড়গিলা বাধ সংলগ্ন জায়েদা মোড় এলাকায়
পূর্বশত্রুতার জেরে নিদু কাজীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
গ্রেপ্তারকৃত কবির হাসান ওরফে চায়না (৪১) ও
মোঃ জিয়াউল মন্ডল জিয়া (৪৫) উপজেলার তারতাপাড়া এলাকার আঃ হাকিম মন্ডলের ছেলে।
নিহত আসাদ ওল্লাহ ওরফে নিদু কাজী (৪৯)
উপজেলার ব্রহ্মেত্তোর এলাকার মৃত আবুল কাশেম কাজীর ছেলে ।
জানা যায়, নিহত নিদু কাজীর পরিবারের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত মো. কবিরের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল।
সোমবার ঈদের দিন বিকেল ৩টার দিকে আসাদ উল্লাহ ও তার চাচাতো ভাই আ. আলীম কাজী (৩৫) মাহমুদপুর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় উপজেলার জায়েদা মোড়ে পৌঁছালে কবির হাসান ও মো. জিয়াউল মণ্ডলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের আহত করে। এসময় আহতদের আত্ম-চিৎকারে আশপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগন ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয় লোকজন আসাদ ওল্লাহ ওরফে নিদু কাজীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ও তার চাচাতো ভাই আঃ আলীম কাজী ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে,জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদ ওল্লাহ ওরফে নিদু কাজীকে মৃত ঘোষণা করেন।
র্যাব-১৪ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনার দিন রাতেই নিহতের বড় ভাই মোঃ জামাল উদ্দিন কাজী বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০ জন‘সহ ও অজ্ঞাতনাম ৭/৮ জনকে আসামী করে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার পর থেকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামীগণ গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। এরই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক মঙ্গলবার সকলা ০৬.০৫ ঘটিকায় জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন নলকা এলাকা গ্রেফতার করে। আসামীদ্বয়কে ইসলামপুর থানায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।