ভারতের আদমপুর, উধমপুর, পাঠানকোট, সুরতগড় এবং সিরসায় পাঁচ বিমানঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে পাকিস্তান।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পশ্চিম ফ্রন্টে ভারতীয় সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। এর ফলে ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা সীমিত মাত্রায়।
শনিবার (১০ মে) ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, পাকিস্তান ২৬টিরও বেশি স্থানে আকাশপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে এবং তারা উধমপুর, পাঠানকোট, আদমপুর, ভুজ এবং ভাতিন্ডার বিমানঘাঁটিতে আমাদের সরঞ্জাম ও কর্মীদের ক্ষতি করেছে।
এদিকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘রেডিও পাকিস্তান’ ও সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের প্রতিবেদনে, শুক্রবার দিবাগত রাতে ভারতে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের এই পালটা হামলায় ভারতের উল্লিখিত পাঁচটি বিমানঘাঁটি ছাড়ও আরও বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে পাকিস্তান।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেহরাঙ্গারিতে আর্টিলারি বন্দুক অবস্থান, জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরিতে অবস্থিত ভারতের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উরি সরবরাহ ডিপো ও কে জি টপ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার্স।

পাকিস্তানের করাচি বন্দরের কাছে একটি রাস্তায় দেশটির সৈন্যরা।
পাকিস্তানের দাবি, তারা ভারতে একসঙ্গে সাইবার হামলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। সাইবার হামলায় ভারতের ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
ভারতের আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ারও দাবি করেছে পাকিস্তান।
রেডিও পাকিস্তান জানায়, পাকিস্তান বিমান বাহিনী জেএফ-১৭ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিয়ে ভারতের আদমপুরে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আঘাত হানে। এতে ওই সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যায়।
এ ছাড়া বিয়াস অঞ্চলে ভারতের ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের ফেডারেল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চলমান রয়েছে। এই হামলায় ভারতের উধমপুরের একটি এবং পাঠানকোটের দুটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে।