ইবি করেসপন্ডেন্ট
শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) থেকে: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ছুটি শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই নাড়ির টানে সকলের যেন নীড়ে ফেরার তাড়া। বাস, ট্রেন ও লঞ্চে পা ফেলার জায়গা না থাকলেও ফিরতে হবে আপনজনদের কাছে। না হলে ঈদের আনন্দটাই যেন মাটি। তবে ভিন্ন চিত্র ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংলগ্ন পদমদী প্রতিবন্ধী এতিমখানায়। সেখানে মোট ২৫ জন শিশু থাকেন। যাদের কারও বাবা নেই, কারও আবার মা নেই। আবার কাউকে দেখার কেউই নেই এই এই দুনিয়াতে।
একে তো এতিম, তার উপর প্রতিবন্ধী। তাদের এ ধরায় দেখার কেউ নেই। তাই ঈদও উদযাপন করেন এতিমখানাতেই। ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলায় অবস্থিত এই এতিমখানাটি।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এই এতিমখানাটিতে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে ইবি’র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বুনন’। খাদ্য সামগ্রী হিসেবে শিশুদের চাল, ডাল, দুধ, সেমাই, চিনি, নুডলস ও সাবান দেওয়া হয়। এসব সামগ্রী পেয়ে শিশুদের চোখে-মুখে যেন উচ্ছ্বাসের ছাপ। আপনজন না থাকার বেদনা কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।
এতিমখানার পরিচালকের বরাত দিয়ে বুননের সভাপতি নাহিদুর রহমান জানান, সেখানে ২৫ জন শিশু থাকেন। এর মধ্যে ১৭ জন প্রতিবন্ধী আছে, যার মধ্যে কিছু এতিম শিশুও আছে। আর এর বাইরেও কিছু এতিম শিশু থাকে সেখানে। যাদের যাওয়ার জায়গা নেই। তাদের জন্য এতিমখানাটিতেই রান্না করা হবে। ওরা সেখানেই ঈদ উদযাপন করবে।
নাহিদ বলেন, প্রতিবন্ধী ও এতিম শিশুদের ঈদের আনন্দে আমরা শরিক হতে পেরেছি। তাদের হাসির কারণ হতে পেরেছি। এটা অনেক বড় পাওয়া। সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে তবে ঈদটা সুন্দরভাবে তারা উদযাপন করতে পারবে।
সামগ্রী বিতরণের সময় এতিমখানার পরিচালক খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমত যে, আপনারা এই প্রতিবন্ধী এতিম শিশুদের জন্য ঈদ সামগ্রী নিয়ে এসেছেন। আপনারা এর আগেও আমাদের এভাবে সহযোগিতা করেছেন। আপনারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক এই দোয়ায় রাখি।
সারাবাংলা/এনএস