মঙ্গলবার , ৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

গুচ্ছেই যাচ্ছে ইবি, শিক্ষক সমিতি এখনো বিপক্ষে অনড়

প্রতিবেদক
bdnewstimes
এপ্রিল ৯, ২০২৪ ৬:৪৫ অপরাহ্ণ


ইবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে নাকি এককভাবে অংশ নেবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না বিশ্ববিদ্যালয়টি। গুচ্ছ প্রক্রিয়াতেই ইবির ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইবি উপাচার্য জানিয়েছেন, গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রকাশিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতেও ইবির নাম রয়েছে। অন্যদিকে, ইবি শিক্ষক সমিতি এখনো গুচ্ছ পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।

ইবি কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত সদস্যরা জানান, ইবিকে গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ইউজিসি ও সরকারের নির্দেশনার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী ও সাধারণ সভাতেও গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষেই মত প্রকাশ করা হয়। এমনকি একাডেমিক কাউন্সিলের সভাতেও একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাস হয়। তবে ‘সরকারি সিদ্ধান্ত’ দেখিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ইবি। পরের বছরগুলোতেও সে ধারাবাহিকতা বহাল ছিল। একইভাবে ইবি শিক্ষকরা গুচ্ছে গেলে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন না।

একই পরিস্থিতি দেখা দেয় এ বছরেও। শিক্ষক সমিতির একাধিক সভা ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছের বিপক্ষে অবস্থান নেন শিক্ষকরা। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫ সদস্যের মধ্যে ছয় শিক্ষক গুচ্ছের পক্ষে অবস্থান নিয়ে নেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে আগের মতোই গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি।

সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির দ্বিতীয় সভায় বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছেই অংশ নিচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত হয়। লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম বলেন, ‘সভায় গুচ্ছের পক্ষে-বিপক্ষে কেউ কিছু বলেননি। যেহেতু গুচ্ছে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৫ হাজার ইবিকে কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ দিয়েছে এবং ইবিকে গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ইউজিসি ও সরকারের নির্দেশনা রয়েছে, তাই এখন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে অংশ নিচ্ছে। তবে শিক্ষকদের কেউ গুচ্ছের পক্ষে ছিলেন না।’

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘সভায় গুচ্ছে যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেখানে এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেউ দ্বিমত পোষণ করেনি।’

সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে মনে করেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুঈদ। তিনি বলেন, গুচ্ছ প্রক্রিয়াতে পরীক্ষা নেওয়া একটি চমৎকার পদ্ধতি। তবে বিপত্তি বাঁধে ভর্তি হওয়ার সময়। ভর্তি প্রক্রিয়া যদি সহজ করা যায়, তাহলে গুচ্ছ পদ্ধতিটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, শিক্ষক সমিতি আগের সিদ্ধান্তেই অনড়। তবে যেহেতু প্রশাসন গুচ্ছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই পরবর্তী সময়ে সমিতির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বর্তমানে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। এরই মধ্যে ইউজিসি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যোগ করেছে। তাছাড়া ১৫ হাজার শিক্ষার্থী ইবিকে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমাদের গুচ্ছে অংশ নিতে হচ্ছে। এখন যদি পরীক্ষায় অংশ না নিই, শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের প্রতি দায়িত্ববোধ লঙ্ঘন হবে। তাছাড়া আমরা নৈতিকভাবে গুচ্ছের বিপক্ষে আছি। আর শিক্ষকদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

সারাবাংলা/টিআর





Source link

সর্বশেষ - খেলাধুলা