আনোয়ারায় অবস্থিত ডিএপি সার কারখানা (ড্যাপ) শ্রমিক কর্মচারীরা ৬ দফা দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। গতকাল সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত কারখানা গেইটে ডিএপিএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় কারখানার শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
ডিএপিএফসিএল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)’র সভাপতি ফরিদ আহম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য ডিএপিএফসিএল ক্যাজুয়াল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নাসির খান,আনোয়ার সাদাত,জাহেদুল আলম,মানিক কুমার,মো.জাকারিয়া,শাহ জালাল প্রমুখ।
মানববন্ধনে সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহম্মদ তার বক্তব্যে বলেন,উৎপাদন বোনাস সংক্রান্ত হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং ৬৩০২/২০২১ এর আদেশ নিষ্পত্তি না করা, অডিট আপত্তির নামে টাকা কর্তন বন্ধ, দীর্ঘদিন যাবত পদোন্নতি না দেয়া , শ্রমিক-কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড প্রদান না করা, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের উৎপাদন বোনাস প্রদান না করা ও অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী নিয়োগ না দেওয়ায়, উল্লেখিত ৬ দফা দাবিতে ¤্রমিক কর্মচারীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। অচিরেই কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের সাথে বৈঠক করে শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবী সমূহ মেনে না নেন ৩০ তারিখের পর থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি পালনসহ দাবী আদায়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন,আমরা জানতে পেরেছি কারখানায় নিয়োগ বানিজ্য চলছে। এই নিয়োগ বানিজ্য যেকোনো মূল্যে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রতিহত করবে।
শিল্প পুলিশের সহকারি পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ডিএপি সার কারখানার সামনে শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যানারে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলেছি।
এ ব্যাপারে ডিএপি সার কারখানার ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো.আলমগীর জলিল সাংবাদিকদের কারখানার নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের যে কোনো বিষয়ে যদি দাবী-দাওয়া থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষকে তা লিখিতভাবে জানাতে হয়। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে হঠাৎ করে কেন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল তা আমাদের বোধগম্য নয়। তারপরও কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ৬ টি দাবী -দাওয়ার বিষয়ে অবগত হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ডিএপি সার কারখানায় সরকারি বিধি অনুযায়ী জনবল নিয়োগ হয়। এখানে জনবল নিয়োগে কোনো ধরণের আর্থিক বানিজ্য করার সুযোগ নেই। অভিযোগ ভিত্তিহীন।শ্রমিকদের বাকী দাবীগুলো বিসিআইসিতে অনেক আগেই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বোনাসসহ অন্যান্য দাবীগুলো দুয়েক মাসের মধ্যে সমাধান।