জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে না থেকেও প্রতিক্ষের মিথ্যা মামলায় স্বপন মিয়া নামে একজনকে আসামী করে হয়রানীতে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।
শনিবার (১৩জুলাই) দুপুর সাড়ে তিনটা দিকে উপজেলার মানকি বেপারীপাড়া এলাকার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ২৫ জুলাই ওই এলাকার উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী
মোছাঃ জরিনা বেগম (৩৮) বাদী হয়ে মোঃ মনির হোসেন ওরফে মরিনা ও (অখমী) ২। মোঃ উজ্জল মিয়াসহ ৬ জনকে সাক্ষী করে ৮জনকে আসামী করে
২৭ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার আসামীরা হলেন উপজেলার মানকি বেপারী পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪১),কমল বেপারীর ছেলে মোঃ আনিছ বেপারী (৪৫) মোঃ ছাহের উদ্দিনের ছেলে, মোঃ ফারুক হোসেন (৪২) মোঃ ফরহাদ হোসেন (২৫), মৃত শাহ্ আলীর ছেলে কোরমান আলী (৫৫), এসিমের ছেলে মঞ্জু মিয়া (৩৬), গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহীন মিয়া (৩৫) ও শার বেপারীর মেয়ে মর্জিনা বেগম (৫০)।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামীরা ১৩ জুলাই শনিবার
দুপুর সাড়ে ৩টা,দিকে ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর বাড়ীর ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় বাদী ও ১নং সাক্ষী মোঃ মনির হোসেন ঘর থেকে বের হয়ে প্রতিবাদ করলে ২নং আসামী মোঃ আনিছ বেপারী হুকুমে ১নং আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম লোহার রাম- দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষী মোঃ মনির হোসেন ওরফে মরিনা এর মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে ১নং সাক্ষীর মাথার ডান পার্শ্বে লেগে গুরুতর আহত হয়,। ও ৪নং আসামী মোঃ ফরহাদ হোসেন লাঠি দিয়ে বাদীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে জখম করে। এসময় ৭নং আসামী শাহীন মিয়া বাদীর গলায় থাকা আট আনা ওজনের গলার চেইন ছিনতাই করে। এসময় বাদীর ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে আসলে ৩নং আসামী ফারুক হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষী উজ্জল মিয়ার মাথায় আঘাত করলে, সে আঘাত ২নং সাক্ষী তার হাত দিয়ে ফেরাতে গেলে তার হাতে লেগে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, এসময় ৬নং আসামী মোঃ মঞ্জু মিয়া ২নং সাক্ষীর বুকের উপর বসে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। ৫নং আসামী কুরমান আলী, ৭নং আসামী মোঃ শাহীন মিয়া ও ৮নং আসামী মোছাঃ মর্জিনা বেগম তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে
বাদীর ঘর বাড়ি ভেঙ্গে আর্থিক ক্ষতিসাধন করে।
আসামীগণ ঘটনাস্থল চলে যাওয়ার সময়
প্রকাশ্যে অস্ত্র-সন্ত্র উচাইয়া এ বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমা করিলে বাদীর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করে।
পরে সাক্ষীগণের সহযোগিতায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আমি এবং ১নং ও ২নং সাক্ষীদ্বয় চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে।
এদিকে প্রতিপক্ষের মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে
৯জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলায় ষড়যন্ত্র করে সপ্ন মিয়াকে ২নং আসামী করা হয়। এ নিয়ে স্বপন মিয়ার এক স্বজন জানান,
শহিদুল ইসলাম তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বোনের অংশ আত্মসাৎ করার জন্য তার বোন জামাই স্বপনকে ষড়যন্ত্র করে আসামি করেন।
ঘটনার সময় স্বপন আমার সাথেই ছিলো, তাকে মিথ্যাভাবে ফাসানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আতংকে সে বাড়িছাড়া।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানতে তাদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি
রাজু আহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।