গত ১৩ অক্টেবর ২০২২, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে আসা প্রায় ৬.৫ টন সমুদ্র ও উপকূলীয় বর্জ্য টেকনাফের বন্দরে রিসিভ করে ইপসা (ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন) । পরবর্তীতে ইপসা টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বর্জ্যগুলো চট্টগ্রামে নিয়ে আসে রিসাইক্লারদের কাছে হস্তান্তর করে। চট্টগ্রামের রিসাইক্লাররা এই বর্জ্যগুলোর প্রকারভেদ আলাদা করে পুনঃব্যবহারযোগ্যগুলোকে রিসাইক্লিং এর ব্যবস্থা করে। সংগ্রহকৃত বর্জ্যগুলোর অধিকাংশই হল প্লাষ্টিক বোতল, সিঙ্গেল ইউজ প্লাষ্টিক, পলিথিন ব্যাগ, খাবারের মোড়ক ও অব্যবহ্ত মাছ ধরার জাল।
সেন্টমার্টিন থেকে এই বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেওক্রাডং বাংলাদেশ। গত ১০ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর তিন দিন ব্যাপী সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এই বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়। কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসীর মামুন বলেন সামুদ্রিক আবর্জনা বর্তমান দুনিয়াতে একটি বহুল আলোচিত বিষয়। এটি সামুদ্রিক বাস্ততন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। কেওক্রাডং বাংলাদেশ ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সংস্থা ওশান কনজারভেন্সির আওতায় ইন্টারন্যাশনাল কোষ্টাল ক্লিনআপ কর্মসূজির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
ইপসা’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচীর ফোকল পারসন আবদুস সবুর ও তার সহকর্মীরা কেওক্রাডং বাংলাদেশ প্রতিনিধির কাছ থেকে এই সমুদ্র ও উপকূলীয় বর্জ্যগুলো গ্রহণ করেন । আবদুস সবুর বলেন সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধাপ সমূহ হল সংগ্রহ, পরিবহন, রিসাইকেল ও ডিসপোজাল। ইপসা এই সংগ্রহীকৃত সমুদ্র ও উপকূলীয় বর্জ্যগুলোকে পরিবহনের মাধমে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে রিসাইক্লারদের নিকট হস্তান্তর করে। যার মাধ্যমে সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে। সমুদ্রের বাস্ততন্ত্রের উপর প্লাষ্টিক বর্জ্যের যে, নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে তা নিরসনে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি এ্যকশান প্লান ফর প্লাষ্টিক ম্যানেজমেন্ট (২০২১-২০৩০) বাস্তবয়ন সরকারকে সহায়তা করেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সামগ্রিক উদ্যোগ খুব প্রয়োজন। ইপসা পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন থিমের আওতায় প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়েছে। প্লাষ্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কারিগরি ও আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড।