মোহাম্মদ ইমরান খান।
কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় খেকোরা দীর্ঘ একযুগ ধরে বনবিভাগের পাহাড়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কৃত্রিম বালু তৈরি করে এবং অবৈধ ভাবে পাহাড় কেটে জমি ভরাট করে আসছে। এতে প্রতিবছর সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালু/মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন তারা এতে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এইসব সরকার বিরোধী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বনবিভাগের কর্মকর্তা’রা অভিযান চালালে তাদের উপর বারবার অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা হয়। আজ তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোকজন পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে তাদের উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা হয়। এতে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
“২৫-ফেব্রুয়ারী’ শুক্রবার” দুপুর ১২.৩০ মিনিটের সময় উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড়ের হরিণমারা বাগানের পাহাড় হেলালের ঘোনা নামক এলাকায়। ইনানী রেঞ্জের আওতাধীন রাজাপালং বিটের, বিট কর্মকর্তা ক্যাসিং মারমার নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযানে গেলে হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায় এতে একজন গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে তিনি উখিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়’দের কাছে বিষয়’টি জানতে চাইলে তারা বলেন, পাহাড় খেকোদের সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার মতন সাহস কারোর নাই বল্লে চলে। কেননা, তাদের পিছনে সরকার দলীয় কিছু জনপ্রতিনিধি এবং বনবিভাগের গুটিকয়েক কর্মকর্তাদের মতন অনেক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। কাজেই পাহাড় খেকোরা যে, কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে কাউকে ভয় করেন না।
এই ব্যাপারে, উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১২-টার সময় রাজাপালং বিটের ৫/৬ জন বন কর্মকর্তার উপর পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা হয় এতে একজনের অবস্থা গুরুতর। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা সন্ত্রাসী হামলার বিষয়’টি ইতিমধ্যে ইউএনও মহোদয় কে অবগত করেছি এবং দ্রুত সন্ত্রাসী’দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজাপালং বিটের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের লোকজনে উপর অতর্কিত হামলার বিষয় টা নিয়ে যথেষ্ট অবগত আছি। সুতরাং যারা এই ঘটনার সাথে ঝড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসেও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই হরিণমারা অসিরজুম (ঐস্যারজুম) এলাকায় পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ছিলেন। পাহাড় খেকোদের ধাওয়া করতে গিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও করা হয়েছিল।