1/ 6
WhatsApp: বছরের শুরু থেকেই অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে WhatsApp। নতুন পলিসির জেরে ক্রমেই জনপ্রিয়তা কমছে এই সোশাল চ্যাটিং অ্যাপের। পরিস্থিতির সামাল দিতে নানা ভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফেব্রুয়ারি মাসের বদলে মে মাসে পলিসি লাগু করার কথা জানিয়েছে WhatsApp। এবার ঘটনায় এক নতুন মোড়। বুধবার WhatsApp-এর আপডেটেড পলিসি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (CCI)।
2/ 6
Facebook মালিকানাধীন এই সংস্থার আপডেটেড প্রাইভেসি-পলিসি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে যে উদ্বিগ্নতা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা, প্রাইভেসি-পলিসি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, গ্রাহকদের উপরে তার প্রভাব ও সমস্ত খুঁটিনাটি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। এবং যথাসময়ে তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবেই এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশের ফেয়ার ট্রেড রেগুলেটর।
3/ 6
এই বিষয়ে WhatsApp-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্তের বিষয়টি নিয়ে CCI-এর সঙ্গে আলোচনা করছে WhatsApp কর্তৃপক্ষ। প্রাইভেসি-পলিসিতে ঠিক কী কী পরিবর্তন আসছে, সে নিয়েও বিশদে আলোচনা হবে। তবে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা বজায় রেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
4/ 6
প্রসঙ্গত,নতুন পলিসির সূত্র ধরে প্রাইভেসি পলিসিতে একাধিক পরিবর্তন আনার কথা বলেছিল WhatsApp। সেই মতো অ্যাপটির আপডেটেড ভার্সন ব্যবহার করতে গেলে প্রত্যেককে একটি ‘agree and accept’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। না হলে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যাবে এই অ্যাপ। আর WhatsApp-এর এই আপডেটেড পলিসি অনুযায়ী, সংস্থার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে ব্যবহারকারীর তথ্য।
5/ 6
এক্ষেত্রে মালিকানাধীন সংস্থা Facebook ও তার অধীনস্থ অন্য অ্যাপেও শেয়ার হতে পারে ইউজারের WhatsApp ডেটা। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তবে এই চ্যাটিং প্ল্যাটফর্মের দাবি ছিল, নতুন পলিসির মাধ্যমে পরিষেবা আরও ইউজার এক্সপিরিয়েন্সকে আরও মজবুত করে তোলা হবে। কিন্তু তথ্য ফাঁস যাওয়ার ভয়ে ভুগতে শুরু করেছেন মানুষজন। তাঁদের আতঙ্ক এবার হয় তো সমস্ত গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
6/ 6
এবার তা নিয়েই তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিল CCI। কমিশনের বার্তা, তদন্তের সময়ে WhatsApp-এর এই প্রতিটি বিষয় সবিস্তারে খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের কাজ শেষ হয়ে গেলে ৬০ দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট পেশ করতে হবে। WhatsApp-এর কোনও চ্যাটিং হিস্ট্রি অন্য প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হচ্ছে কি না সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হবে। কোন দিকে এগোবে এই তদন্ত? আপাতত সময়ের অপেক্ষা!