Advertise here
শনিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. ক্যারিয়ার
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. তরুণ উদ্যোক্তা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. প্রবাস সংবাদ
  10. প্রযুক্তি
  11. প্রেস বিজ্ঞপ্তি
  12. বহি বিশ্ব
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. মতামত

নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে ‘মরণফাঁদ’, ঝুঁকি নিয়েই চলে কাজ

প্রতিবেদক
bdnewstimes
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ


রিয়াদুল ইসলাম, নোবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট

নোবিপ্রবি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনে যততত্র ফাটল দেখা দিয়েছে। উপর থেকে ক্ষয়ে পড়া ইট ও সিমেন্টের ফলে ভবনটি যেন হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ। এরপরও ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই চলছে প্রশাসনিক ও পাঠদান কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থিত পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। ছোট-বড় নানা ফাটলে পুরো ভবনের অধিকাংশ স্থানই জীর্ণ। এর মধ্যে ভবনের দিতীয় ও চতুর্থ তলায় ফাটলের ফলে ভেতর থেকে রড বেড়িয়ে এসেছে । সিমেন্ট, পাথর ও ইটের টুকরো প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে। ফলে যখন তখন ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। ফলে ভবনের নিচ দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় ৭৫০ জন শিক্ষার্থী সিডিউল অনুযায়ী প্রশাসনিক ভবনে ক্লাস করে থাকেন। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে এই ভবন থেকেই। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন দফতরের প্রায় পাঁচশ কর্মকর্তা-কর্মচারী এ ভবনে প্রতিদিন যাওয়া-আসা করেন।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামান সবুজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অবস্থান করেন আর সেই ভবনের এমন অবস্থা সত্যিকার অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক। ক্লাসরুমের সংকট থাকায় আমাদের অনেক ডিপার্টমেন্টের ক্লাস করতে হয় এই প্রশাসনিক ভবনে। কিন্তু ভবনের এমন জরাজীর্ণ অবস্থা আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে। ইতোমধ্যে এই ভবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে শিক্ষার্থীরা এমনিতেই শঙ্কার মধ্যে দিন কাটা,য় কখন কি হয়ে যায় তারপর আবার ভবনের এই ফাটল আমাদের মনে নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে। আমরা এ শঙ্কা থেকে মুক্তি চাই।’

নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে ‘মরণফাঁদ’, ঝুঁকি নিয়েই চলে কাজ

প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির উষাণ সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনের অবস্থা খুবই বেহাল। ভবনের নিচে দিয়ে চলাচল করতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত থাকেন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এটি সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।’

সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস ইকবাল বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনের ২য় এবং ৪র্থ তলায় ফাটল ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফলে অনেক ঝুঁকি নিয়ে উপরে উঠে ক্লাস করতে হচ্ছে আমাদের। ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আশা করি এই সমস্যা সমাধান অতি দ্রুত হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা পরিচালক প্রকৌশলী জামাল হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ফাটলটি আমরা দেখিনি, আপনার মাধ্যমে এইমাত্র জানলাম। আমরা দ্রুতই এর সমাধান করে দিবো।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়টি খুবই গুরুতর। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরকে জানাচ্ছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল বাকি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মতামত দিতে পারছি না। তবে এটি দ্রুত সমাধান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরকে জানানো হবে।’

সারাবাংলা/এমও





Source link

সর্বশেষ - বিনোদন

আপনার জন্য নির্বাচিত
Advertise here