বিপ্লব বিশ্বাস: [২] জাতিসংঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদের প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের এক সহকর্মীর ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করে বাংলাদেশ পুলিশ। এরপরই তারা বাংলাদেশ পুলিশকে অভিনন্দন জানান।
[৩] গত মঙ্গলবার পাঠানো অভিনন্দনপত্রে বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রমেশ চন্দ্র সিংহ। তিনি বলেছেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে তাদের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে। সত্যিই এই কাজটা অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।’
[৪] পুলিশের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, তেজগাওঁ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ ও শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের (ইউএনডিএসএস) নিরাপত্তা উপদেষ্টা রমেশ চন্দ্র সিংহ।
এক সহকর্মীর ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য গত মঙ্গলবার পাঠানো হয়।
[৫] অভিনন্দনপত্রে বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে। সত্যিই এই কাজটা অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।’
[৬] অভিনন্দনপত্রে রমেশ চন্দ্র বলেন, ‘জাতিসংঘে আমাদের একজন সহকর্মী প্রতীক রঞ্জন বিশী, যিনি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনে (আইএলও) কর্মরত। গত ৪ জুন রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ২৭ নম্বর রোডের একটি ফুটওভার ব্রিজে দস্যুতার শিকার হন তিনি। ‘ডাকাত দল ধারাল অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে অফিসের কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন, একটি ব্যক্তিগত স্মার্ট ওয়াচ ও একটি স্বর্ণের রিং ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৫ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করা হয়।’ শেরেবাংলা থানার ওসি জানে আলম মুন্সিকে বলেন, ‘ডাকাতি মামলা হওয়ার পর থেকেই পুলিশের একটি টিম তদন্তে নামে। নোয়াখালী থেকে লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের প্রত্যেকেই ডাকাতির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’অভিনন্দনপত্রে বলা হয়, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার হওয়ার পরপরই শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতীক রঞ্জন বিশীকে অবহিত করে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
[৭] রমেশ লেখেন, ‘ভারতের পুলিশ বাহিনীতে ২০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ছিনতাই হওয়া জিনিস উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিককে ফেরত দেয়া কতটা কষ্টকর, চ্যালেঞ্জিং ও গর্বের বিষয়-সেটা বাংলাদেশ পুলিশ করে দেখিয়েছে।
[৮]‘এটা সম্ভব হয়েছে তাদের আন্তরিকতা, পেশাদারিত্ব ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলে। সত্যিই এই কাজটা অনেক প্রশংসার দাবি রাখে। আমি বিশ্বাস করি, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে এই ধরনের কাজের মাধ্যমে।’
[৯] প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘এই ধরনের অভিনন্দন সবসময়ই আনন্দের। এতে পুলিশের পেশাদারত্বিপূর্ণ কাজে আরও গতি আসে।