র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি এ্যাম্বুলেন্সযোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়া যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ ২৩০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন বারৈয়ারহাট- খাগড়াছড়ি মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি এ্যাম্বুলেন্সের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা এ্যাম্বুলেন্সটিকে থামানোর সংকেত দিলে এ্যাম্বুলেন্সটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। নাঈম (১৯), পিতা- আবুল কাশেম, সাং- ফটিকছড়ি, থানা- ফটিকছড়ি এবং ২। হোসেন আলী (২৬), পিতা- নছাদ আলী, সাং- পশ্চিম ফরহাদাবাদ, থানা- হাটহাজারী, উভয় জেলা- চট্টগ্রাম’দ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে উক্ত এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে রোগী বহন করার জায়গা হতে ০৩টি চটের বস্তায় মোট ৭৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত এ্যাম্বুলেন্সটিকে জব্দ করা হয়।
আটককৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১১ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।