সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: চট্টগ্রামে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সামনের কাতারের সংগঠক, আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার আফসারুল আমীনকে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বিদায় জানাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
শনিবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানায় অংশ নেন মন্ত্রিপরষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
পরে ডাক্তার আফছারুল আমিনের মরদেহে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের সামরিক সচিবদ্বয় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন। শ্রদ্ধা জানানো হয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও। শ্রদ্ধা জানানো হয় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ চীফ হুইপ ও অনান্য হুইপরা। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিনিয়র নেতাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বরেণ্য রাজনীতিক চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডাক্তার আফছারুল আমিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মরহুমের দেহ ঢেকে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় আরও শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীহ, আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ নানা সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফছারুল আমীনের মৃত্যু হয়। তিনি ৩ বছর ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনা মহামারির শুরু থেকেই কার্যত তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এবং সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার পরও সুস্থ হননি। গত তিন বছর ধরে তিনি রাজনৈতিক, সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেননি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত এক মাস ধরে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
সারাবাংলা/এনআর/ইআ