মোঃ ইমরান খান।
এনজিও অফিস খোলা রয়েছে, রেডজোন থেকে বাহির হয়ে বা রেডজোনে’র মাথার উপর দিয়ে হাজার-হাজার এনজিওকর্মী ঠিকই তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছেন, স্থানীয়রাও অফিস আদালত ও বাজারে যাচ্ছেন, সবধরনের গাড়ি চলাচল করছেন, গতকাল বস’কে লকডাউনের কথা বল্লে সে কটকট স্বরে বলে, লকডাউন দিয়েছে তাতে কি হয়েছে আপনি প্রতিদিনের মতন আগামীকাল ও যেন অফিসে যাবেন। ভাই এই কেমন লকডাউন, আসলে লকডাউন মানি কি আমরা বুঝি না, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে হাস্যকর লকডাউন এবং বিনোদনের ভরপুর লকডাউন।
লকডাউনের প্রথমদিনে বুধবার (২ জুন) সকাল ৮ টায় উখিয়া হিজলিয়া এলাকায় এনজিও গাড়ির অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা এক এনজিও কর্মকর্তা অনেকটা আক্ষেপের সুরে এইসব কথা বলেছিলেন।
তার পাশ দিয়ে তখন সাই-সাই আওয়াজ তুলে দ্রুতবেগে চলে যায় অসংখ্য প্রাইভেট এনজিও সংস্থার গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজি, টমটম’সহ বিভিন্ন গাড়ি। রাস্তায় মানুষের অবস্থা উপস্থিতিও স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম নয়। এই বাস্তব চিত্র দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই যে, আজ থেকে ৫ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে উখিয়া সদর ইউনিয়নের ৪’টি ওয়ার্ডে।
লকডাউনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উখিয়া তে (কোভিট-১৯) সংক্রমণ মারাত্বক ভাবে বৃদ্ধির পাওয়ায় উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নর ২, ৫, ৬, ও ৯নং ওয়ার্ড কে রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে সকল ধরনের গণজমায়েত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সকলে অবশ্যই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করবেন। কোন অবস্থাতেই ঘরের বাহিরে যাওয়া যাবে না। সকল প্রকার যানবাহন টমটম, সিএনজি, রিক্সা, সীলাইন/ কক্সলাইন সকল ধরনের ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের বেসরকারি অফিস ও এনজিও সংস্থার অফিস আগামী ৬ জুন ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ রাত ১২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সকল প্রকার হোটেল, রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান, কুলিং কর্ণার, পানের দোকান, শপিং মল, বেকারী, কাপড়ের দোকান, মার্কেটসহ সকল ধরনের দোকান-পাট বন্ধ থাকবে। কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। বিলেক ৪ টা থেকে ঔষধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকান-পাট আবশ্যিক ভাবে বন্ধ থাকবে।
লকডাউন কেমন চলছে তা সরজমিনে দেখতে গিয়ে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত দেখা যায়, উখিয়া সদর ইউনিয়নর আলিমুড়া, জাদিমুড়া, কুতুপালং এলাকায় রাস্তাঘাটে অসংখ্য গাড়ি ও প্রতিদিনের চেয়ে ও বেশি মানুষের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
রেডজোনে মানুষ কি জন্য বের হয়েছেন জানতে চাইলে তাদের কেউ অফিস, কেউ বাজার, কেউ হাসপাতাল আবার কেউ লকডাউন কেমন চলছে তা দেখতে বেরহওয়াসহ নানা প্রয়োজনের কথা বলেন।
এইদিকে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে রাজাপালং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হেলাল ‘সহ অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক, লকডাউন বাস্তবায়নের ভুমিকায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে।
লকডাউন সম্পর্কে উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সঞ্জু মোর্শেদ বলেন, আজকের লকডাউন সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা সবাই অবগত আছেন। আমরাও ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশ মতে লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে আছি এবং আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ এর মোটোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ না করায় ওনার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।