আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া মানুষজনকে সরিয়ে নিতে আরও ৩৩টি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার এসব বিমান কাবুল বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। ওই বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় বর্তমানে ২০ হাজারের বেশি মানুষ দেশ ছাড়ায় অপেক্ষায়।
সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর এয়ার ফোর্স সি-১৭ মডেলের বিমানগুলো কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে একে একে অবতরণ করবে। জানা গেছে, সি-১৭ মডেলের প্রত্যেকটি বিমানে অন্তত ৪০০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন। এসব সামরিক বিমান উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিলে কাবুল বিমানবন্দরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন’র খবরে বলা হয়, মার্কিন সরকার আফগানিস্তানে উদ্ধার তৎপরতা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। গণহারে বিমানে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে সোমবার থেকে শুধুমাত্র আমেরিকান নাগরিক ও ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তি ও নাগরিকরা কাবুল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন।
সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, মার্কিন সেনাদের সাহায্য করা আফগান নাগরিকরা স্পেশাল ইমিগ্রেন্ট ভিসা (এসআইভি) আবেদন করে থাকেন। তবে এখনই তাদের বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হতে দেওয়া হবে না।
মার্কিন বাহিনী জানিয়েছে, তালেবানরা এখন বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে চাওয়া প্রার্থীদের নথি পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।
এদিকে মার্কিন ও ন্যাটো সামরিক তৎপরতায় গত ১৪ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩১ আগস্টের মধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শেষ করারও সময়সীমা বেধে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
সারাবাংলা/আইই