মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ, কক্সবাজার প্রতিনিধি : ২০২১ সালের ২৬ শে জুন কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই বোন ধর্ষিত হয়। জানা যায়, ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা অন্যত্র আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও তাদের মেয়েকে বাড়িতে রেখে যায়। ওই রাতে ভিকটিম ছাত্রী একাকী ভীত সন্তস্ত্র বোধ করায় পাশের বাড়ি থেকে তার চাচাতো বোনকে ডেকে এনে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে বাড়িতে আর কেউ না থাকার এ সুযোগে আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল (২৬) ঐ বাড়িতে ঢুকে দুই ছাত্রীকে কৌশলে ঘুমের বড়ি সেবন করায়। এতে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়লে বর্ণিত যুবক তাদেরকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি ভিকটিম দুই ছাত্রী তাদের পরিবারকে জানালে, তাদের পরিবার উক্ত ঘটনার বিষয়টি চকরিয়া থানায় অবহিত করেন। এরপর ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হলে এক ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বর্ণিত যুবকের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং ৪৭/২৬৯, তারিখ ২৪/০৬/২০২১ খ্রিঃ। উক্ত ঘটনার পর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামী আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করে এবং পালিয়ে বেড়ায়। ঘটনাটি কক্সবাজারে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।
সংবাদটি অবগত হওয়া মাত্রই উক্ত ধর্ষণের আসামীকে গ্রেফতার করতে র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। আসামী অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে গ্রেফতার এড়ানো উদ্দেশ্যে বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করে। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এক পর্যায়ে জানা যায়, সে গাজীপুরে অবস্থান করছে। অবশেষে তার সুনির্দিষ্ট অবস্থান নিশ্চিত সাপেক্ষে র্যাবের চৌকস আভিযানিক দল ২১ মার্চ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টা ২০ মিনিটের সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন ভবানীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েলকে (২৬) গ্রেফতার করে। আবু হাসান মোহাম্মদ ইব্রাহিম জুয়েল চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ০৩ নং ব্লক, ০৫ ওয়ার্ড লম্বাখালীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী জুয়েল ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে।২৩ মার্চ সকাল ১০ টার সময় কক্সবাজার র্যাব -১৫ এসব তথ্য জানাই।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ইতোপূর্বে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় রুজুকৃত মামলা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।