আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রাইমারি স্কুল খুলে দেওয়ার পর থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এক শিক্ষার্থীর বাবা এর আগের সপ্তাহে কোভিড পজিটিভ হন। তার মাধ্যমেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবিসি জানায়, ফুজিয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ সেখানকার সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে এক সপ্তাহের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, চার দিনের মধ্যে ফুজিয়ানে ১০০ জনের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল নানজিং। এক মাস আগে সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় চীন।
এখন ফুজিয়ান প্রদেশের পুতিয়ান শহরেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এ শহরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের বাস। উহান ও নানজিংয়ের মতো পুতিয়ানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পুতিয়ানে এরই মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেখানকার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, পুতিয়ানবাসীর চলাচলেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। পুতিয়ানের বাইরে কেউ যেতে চাইলে তাকে কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। এজন্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। তাছাড়া, পুতিয়ানের সিনেমা হল, জাদুঘর ও গ্রন্থাগার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রেস্তোরাঁ খোলা রাখার সময়ও কমানো হয়েছে।
অন্যদিকে, যে শিক্ষার্থীর বাবা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি ৩৮ দিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছিলেন। ১০ সেপ্টেম্বর কোভিড পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। যদিও সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তিনি ২১ দিন কোয়ারেনটাইনে ছিলেন।
এ ব্যাপারে গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, কোয়ারেনটাইনে থাকার সময় তার বেশ কয়েকবার কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। সব পরীক্ষাতেই ফল নেগেটিভ ছিল। তাই তিনি সিঙ্গাপুর থেকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ফিরেছিলেন কি না তা পরিষ্কার নয়।
সারাবাংলা/একেএম