স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: স্কুলগুলোতে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য এখনও নীতিমালা দেয়নি সরকার। তবুও আবেদন জমা নিতে শুরু করেছে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হলিক্রস বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের মতো রাজধানীর অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আবেদন চলছে পুরোদমে। আর মাউশি বলছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তির কাজ শুরু নভেম্বরের শেষে।
হলিক্রসসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভর্তি প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়ে রাখার জন্যই আবেদন জমা নিচ্ছে তারা। হলিক্রস বলছে, নীতিমালা হওয়ার পরেই ভর্তির কাজ শুরু করবে তারা। এখন কেবল আবেদন সংগ্রহ করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই স্কুলটিতে আবেদন বাবদ ২০০ টাকা গুনতে হচ্ছে অভিভাবকদের। আবেদন বিজ্ঞপ্তিটির জন্য উপরি আরও ২০ টাকা দিতে হচ্ছে তাদের।
নীতিমালা প্রকাশের আগেই এভাবে আবেদন নেওয়া যায় কি না? এই প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক সারাবাংলাকে বলেন, ‘বেসরকারি স্কুলগুলোতে এটা করা যেতে পারে। তবে সেটি যেন বাণিজ্য না হয়।’
তিনি বলেন, ‘এবারের ভর্তি উৎসবের জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। এজন্য শিক্ষামন্ত্রণালয় একটি কমিটি কাজ করছে। কমিটি চূড়ান্ত বৈঠকের পর নীতিমালা প্রকাশ করবে। এরপরই দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে শুরু হবে ভর্তি উৎসব। সেক্ষেত্রে বেসরকারি স্কুলগুলোতে নভেম্বর থেকেই ভর্তি শুরু হবে। সরকারিতে ভর্তি শুরু হবে ডিসেম্বরে।’
এদিকে মাউশির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, গেল বছরের নীতিমালায় এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। এবারের নীতিমালাটি করোনা ঝুঁকিকে মাথায় নিয়ে তৈরি করা হবে। তবে ভর্তির চূড়ান্ত কাজটি অবশ্য লটারির মাধ্যমেই করা হবে।
লটারি আগে শুধু মাত্র প্রথম শ্রেণিতে হলেও গতবার হয়েছিল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এবারও তেমনটাই হবে। আর অষ্টম শ্রেণিকে এবার জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হলেও তাদেরকে মূল্যায়নের মাধ্যমে পরের ক্লাসে তোলা হবে। তবে তাদেরকেও পছন্দের প্রতিষ্ঠানে পড়তে হলে পেরোতে হবে লটারির বাধা।
মাউশি বলছে, গেল বছরের মতো এবারও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে অনলাইনে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে।
মাউশি পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নীতিমালা আগামী সপ্তাহেই প্রকাশ করা হতে পারে। এরপরেই সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর এখন যেসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি আবেদন চলছে, সেগুলোকেও আমরা নজরে রাখছি। কেথাও কোনো অনিয়ম হলে বা অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম