বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

পেগাসাস দিয়ে আমিরাতের ২ রাজকন্যার ওপর নজরদারি

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ২২৬ সময় দেখুন
পেগাসাস দিয়ে আমিরাতের ২ রাজকন্যার ওপর নজরদারি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলি হ্যাকিং ম্যালওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে ফোনে আড়ি পেতে যে ৫০ হাজার জনের ওপর নজরদারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুই রাজকন্যা লতিফা এবং হায়া বিনতে আল-হুসাইনেরর ফোন নম্বর মিলেছে। খবর বিবিসি।

এদের মধ্যে, লতিফা আমিরাতের শাসকের মেয়ে এবং হায়া তার সাবেক স্ত্রী।

এর আগে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বিবিসি প্যানারোমা প্রিন্সেস লতিফার একটি গোপন ভিডিও সম্প্রচার করেছিল। তাতে লতিফা জানিয়েছিলেন, তাকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে এবং তিনি জীবনের শঙ্কায় আছেন।

অন্যদিকে, প্রিন্সেস হায়া ২০১৯ সালেই নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে দুবাই থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, আমিরাত কর্তৃপক্ষ দুই রাজকন্যার অভিযোগই অস্বীকার করেছে।

প্রসঙ্গত, পেগাসাস কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদপত্রের অনুসন্ধানের মধ্য দিয়েই পেগাসাস কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এসেছে।

বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা এই হ্যাকিং সফটওয়্যার কিনে নিয়ে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালিয়ে আসছে বিভিন্ন দেশের ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকার।

ধারণা কর হচ্ছে, লতিফা দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় থেকেই তার ওপর নজরদারি শুরু হয়েছে। দুবাই থেকে পালানোর চেষ্টাকালে তিনি অপহৃত এবং কারাবন্দি হন বলে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন লতিফা।

লতিফা বলেন, ২০১৮ সালে নৌকায় করে ভারত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তিনি ধরা পড়ে যান এবং তাকে দুবাইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে একটি ভিলায় জেলবন্দি করে রাখা হয়। ঘটনাটি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

এছাড়াও, প্রিন্সেস হায়া তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাজ্যের আদালত গত বছর এইসব অভিযোগ এক বিচারের রায়ে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করেছিল।

নথিপত্রে বলা হয়েছে, প্রিন্সেস লতিফা এবং আরেক সন্তান শেইখ শামসার কি ঘটেছে তা নিয়ে সন্ধিগ্ধ হওয়ার কারণে হায়ার বিবাহিত জীবনে ভাঙন ধরেছিল। হায়া ২০১৯ সালে দুই সন্তান নিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যান।

গত বছর আদালতের শুনানিতে বলা হয়, দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদের প্রচ্ছন্ন হুমকির কারণে হায়া নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন এবং তার সন্তানদের অপহরণ করে দুবাইয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে শঙ্কায় ছিলেন।

সারাবাংলা/একেএম





Source link

অনুগ্রহ করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

এই বিভাগের আরও খবর