করোনা (corona) ত্রাসের মধ্যেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাস (Black fungus & white fungus)। ইতিমধ্যেই ভারতে Mucormycosis বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার জন। তবে এই ব্ল্যাক ও হোয়াইট দুই রকমের ফাঙ্গাস থেকেই দূরে থাকা সম্ভব যদি শরীরে শর্করা (Sugar level) মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। চিকিৎসকরা তাই বলছেন।
ডায়াবিটিক রোগীদের ইমিউন সিস্টেম এমনিতেই অন্যান্যদের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত থাকে। অতএব তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে তাঁদের শরীরে ফাঙ্গাস বাসা বাঁধার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তার উপরে তাঁরা যদি করোনায় আক্রান্ত হন তা হলে তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমতে থাকে। করোনা চিকিৎসায় বহু ডায়াবিটিক রোগীকেই স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। ফলে আরও ঝুঁকি বাড়তে থাকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার।
ব্ল্যাক ও হোয়াইট দুই ফাঙ্গাসই mucormycetes-এর ফলে হয় যা মাটি, গাছপালা, সারে উপস্থিত। বিশেষজ্ঞদের মতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো হোয়াইট ফাঙ্গাসের উপসর্গগুলি প্রকট নয়। ফলে নিঃশব্দেই ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এই ছত্রাক। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর করোনার মতোই উপসর্গ থাকছে এই হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হলে এবং তার পরে রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। সিটি স্ক্যান করে দেখা যাচ্ছে তাদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ।
চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিডের চিকিৎসা চলাকালীন বা কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে এই ফাঙ্গাসে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কমন বিষয় হল তারা ডায়াবিটিসের রোগী। তাই এক্ষেত্রে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে জরুরি।
প্রতিদিন শর্করা মাত্রা চেক করা, মাস্ক পরা, এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। রোগীকে স্টেরয়েড দেওয়ার বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলছেন। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যতম কাজ হল শরীরচর্চা করা। তবে করোনা থেকে সেরে উঠেই শরীরচর্চা করা রোগীর পক্ষে কঠিন কারণ দুর্বলতা থাকে। এক্ষেত্রে কিছুক্ষণ হাঁটা ও হালকা শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও যাতে ঠিক মাত্রায় থাকে সেদিকেও নজর দিতে বলছেন চিকিৎসকরা।