আব্দুর রহিম, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুরে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন রয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ঐ গৃহবধূ কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জানা গেছে, ২০০৭ সালে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের হোসেন গাইনের কন্যা নাসিমা খাতুন (৩৩) এর সাথে একই ইউনিয়নের কাশিশ্বরপুর গ্রামের নুর ইসলাম শেখের পুত্র বিল্লাল হোসেন (৪০) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের ১৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। বর্তমানে ঐ গৃহবধুর স্বামী ভারত গমন করে পলাতক রয়েছে। যার পাসপোর্ট নম্বর ০৭০৮৪৫২ । নির্যাতিত গৃহবধূ নাসিমা খাতুনের অভিযোগে তিনি বলেন, ১ নং আসামী আমার স্বামী বিল্লাল হোসেন,
পিতা নুর ইসলাম শেখ। ২ নং আসামী শশুর নুর ইসলাম শেখ, পিতা ইমান উদ্দিন শেখ। ৩ নং আসামী দেবর হেলাল হোসেন, পিতা নুর ইসলাম শেখ, সর্বসাং কাশিশ্বরপুর। ৪ নং স্বামীর ভাগ্নে নুরুজ্জামান গাজী, পিতা মহররম গাজী, সাং গড়ুইমহল সর্বথানা কালিগঞ্জ, জেলা সাতক্ষীরা। ১ নং আসামীর সাথে আমার গত ১২/৬/২০০৭ তারিখে ৯,৯৯৯/= টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক রেজিঃ বিবাহ হয়। বিবাহের পরে ঘর সংসার করা কালীন সময়ে ১ নং আসামীর ঔরষে আমার গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাঁর নাম শেখ শরিফুল ইসলাম (১৪)। বিবাহের সময়ে আমার পিতা ১ নং আসামীকে নগদ ১,০০,০০০/= (এক লক্ষ) টাকা সাংসারিক জিনিসপত্র মূল্য ৫০ হাজার টাকা এবং আমার একটি স্বর্ণের চেইন ওজন ১২ আনা যার মূল্য ৬০ হাজার টাকা এবং ২ টি কানের স্বর্ণের দুল যার ওজন আট আনা এবং মূল্য ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বিবাহের পর আমার পিতা ১ নং আসামীর বসবাসের সুবিধার্থে ঘরবাড়ি করার জন্য ১৫ শতক জমি খরিদ করিয়া দেন এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ করার জন্য নগদ ২,০০,০০০/= (দুই লক্ষ) টাকা প্রদান করেন। কিন্তু যৌতুক লোভী আসামীদের যৌতুকের লালসা মিটানোর জন্য তাঁদের কু পরামর্শে ও সহযোগিতায় আমার পিতার কাছ থেকে ৫,০০,০০০/= (পাঁচ লক্ষ) টাকা যৌতুক বাবদ আনতে বলে। আমি এত পরিমান যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকার করিলে ১ নং আসামীর বাড়িতে গত ইংরেজি ০৮/১০/২০২২ তারিখে সকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ২, ৩ ও ৪ নং আসামীদের সহযোগিতায় ১ নং আসামী আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়া এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। ২ ও ৩ নং আসামী কাঠের চেলা দিয়ে মারপিট করে এবং ৪ নং আসামী চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে সকল আসামীগন এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং আমাকে টাকা নিয়ে আসতে বলে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার ডাক চিৎকারে মৃত পোচল গাইনের পুত্র হোসেন গাইন (৫৫), আহম্মদ গাজীর পুত্র বনি আমিন ৪৫, মৃত মতলেব শেখের পুত্র আব্দুল গফুর (৫২), শামসুর গাইনের পুত্র কিবরিয়া হোসেন (২৯) ঘটনাস্থলে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।