স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সুইডেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং তাদের পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
শুক্রবার (৭ জুলাই) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ ডাক দেন।
সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও পোড়ানো এবং ফিলিস্তিনে নিরীহ মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এ বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, এডভোকেট মশিউর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, যুবনতো আল আমিন, মুহাম্মদ ফাইয়াজসহ অনেকে।
অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে সুইডেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, সুইডেনে অবস্থিত দূতাবাস সরিয়ে নিতে হবে, মুসলিম দেশগুলোতে থাকা সুইডেনের দূতাবাস বন্ধ এবং সুইডিশ পণ্য বর্জনের মাধ্যমে সুইডেনকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’
সুইডেনের পাশাপাশি ইসরাইলের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত কর্মসূচির মাধ্যমে ইসরাইলের বর্বরতা রুখে দাঁড়াতে হবে। সৌদি আরবসহ আরব রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, সেই দেশগুলোতে থাকা ইসরাইলের নাগরিকদের গ্রেফতার করে চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী ইসরাইলের সব পণ্য বর্জন কর্মসূচি নিতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মোসদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, ‘সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- পাঁচ সিটি করপোরেশনে খুব সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আপনি ঘরে বসে আছেন আর আপনার ভোট হয়ে গেছে, এটা সুন্দর নির্বাচন? ইভিএম মেশিনে যে বিজয়ী হয়েছে তার ভোট পরিবর্তন করে যে বিজয়ী হয় নাই তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে, এটাই হচ্ছে তার সুন্দর ভোটের নমুনা।’
সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না জনগণ। আগামী নির্বাচন হবে জাতীয় সরকারের অধীনে। দলীয় সরকার, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা করতে দেব না। তাকে আর সময় দেওয়া হবে না।’
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম, পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল মোড় হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/এজেড/এমও