স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জামানত হারাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না— এটা পরিষ্কার। কারণ, তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারাদেশে তারা জামানত হারাবে। পাশাপাশি তাদের সকল অপকর্মের বিচার হবে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতেই তারা বারবার সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে দেশের প্রত্যেকটি এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। আজকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অদক্ষ ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের বাইরেও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। এগুলো রোধ করার জন্য সরকার নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকার গুজব ছড়ানোর ওস্তাদ। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য তাদের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘আজকে এক নায়কতন্ত্রের শাসনাকালে বিরোধী জোট বা বিএনপিতে যারা নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন, তাদের সঙ্গে জনগণের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আজকে এই ক্রিটিকাল মুহূর্তে আন্দোলন-সংগ্রামে তাদেরকে এগিয়ে এসে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। যদি দেশ টিকে থাকে, গণতন্ত্র টিকে থাকে, দল টিকে থাকে তাহলে পদ পদবী পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি দেশ ও গণতন্ত্র টিকে না থাকে তাহলে পদবী দিয়ে কী হবে?’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকে কুক্ষিগত করতে তাদের (সরকারের) পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে সত্য কথা বললে দেশ ও জনগণের কথা বললে গণমাধ্যমকে হুঁমকি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তারা জনগণ ও গণমাধ্যমকে ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে। আজকেও আমরা দেখতে পেয়েছি বিএনপি বিভিন্ন এলাকায় তাদের সাংগঠনিক সভা সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি কি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন? আমরা কি কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপ করতে পারব না?’
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামসহ আয়োজক সংগঠনের নেতারা।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ