ডেস্ক রিপোর্ট:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ প্রার্থীকে কবুতর প্রতীকে ভোটগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশনা দিয়েছে আপিল বিভাগ।
গত ২৭ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। নির্দেশনাটি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছে আপিল বিভাগ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক গণতন্ত্রী পার্টি। আরশ আলী ও শাহাদাত হোসেন উভয়ে নিজেদের দলটির সভাপতি দাবি করছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রী পার্টির ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু বিভক্তির কারণে ১২ ডিসেম্বর ইসি দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
দলটির নিবন্ধন বাতিল ও প্রার্থিতা বাতিল বিষয়ে ১২ ডিসেম্বর ইসির গৃহীত পৃথক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশনা চেয়ে আরশ আলী মনোনীত ভূপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিকসহ ৭ জন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ রুলসহ আদেশ দেন। আপিল বিভাগ দলটির নিবন্ধন বাতিল ও আগ্রহী প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলে ইসির সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করেন। রিট আবেদনকারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের প্রক্রিয়া স্থগিত হয় এবং ৭ জনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন গণতন্ত্রী পার্টির শাহাদাত হোসেন মনোনীত তিন প্রার্থী ইসির ওই আবেদনে পক্ষভুক্ত হতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে আবেদন জমা দেন। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, প্রার্থনা মতে- স্থগিতাদেশের ওপর কোনো আদেশ প্রদান করা হলো না। পক্ষভুক্তির দরখাস্তুটি মঞ্জুর করা হলো। হাইকোর্ট বিভাগের প্রদত্ত অন্তবর্তীকালীন আদেশটি বহাল এবং সংশোধন করে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদেরকে সংসদীয় আসনে ‘কবুতর’ প্রতীকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট জেলার রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
তবে, দলের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিরোধ পরবর্তীতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে পারবেন বলে আদেশে জানানো হয়।
যেসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন
১. বুপেন্দ্র চন্দ্র ভৌমিক (১৬২, কিশোরগঞ্জ-০১), ২. মো. আসরাফ আলী (১৬৩, কিশোরগঞ্জ-০২), ৩. দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া (১৬৪, কিশোরগঞ্জ-০৩), ৪. মো. মোজাম্মেল হোসেন ভূঁইয়া (১৪, নীলফামারী), ৫. মিহির রঞ্জন দাস (২২৫, সুনামগঞ্জ-০২), ৬. মো. খাইরুল আলম (৭০, পাবনা- ০৩), ৭. মো.. মতিউর রহমান (১০০, খুলনা-০২), ৮. শাহাদাত হোসেন (১৮১, ঢাকা-০৮), ৯. মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৯, বগুড়া-০৪) এবং ১০. হাফিজুর রহমান মিন্টু (১৭৮, ঢাকা-০৫)।