এস কে মুকুল, জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আয়েশা ছিদ্দিকা(২০) নামের এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ।
ঘটনাটি শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মাঝিনা গ্রামে ঘটে । আয়েশা ছিদ্দিকা জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং ঐ গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে ।
সরেজমিনে গিয়ে নিহতের বড় ভাই ও প্রতিবেশি সুত্রে জানা যায়, ঈদের পরের দিন আয়েশা ছিদ্দিকাকে বাড়িতে রেখে তার ভাই ও ভাবি শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়।
শুক্রবার (৬ই মে) সকালে আয়েশা প্রতিবেশি মহিলাদের সঙ্গে দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে পিকনিকে যায়। রাত ৯টার দিকে বাড়িতে এসে বাড়িতে কেউ না থাকায় পাশের বাড়ীর দুই ভাতিজিকে নিয়ে ঘরে শুয়ে পড়ে। রাত ১১টার দিকে আয়েশা ভাতিজিদের ঘরে রেখে পাশের ঘরে ফোনে কথা বলতে যায় । তারা ধারণা করে যে, রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা কৌশলে বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে ঢুকে আশেয়ার মুখে কাপড় গুঁজে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে পালিয়ে যায় ।
সকালে অন্য ঘরে শুয়ে থাকা ভাতিজিরা জেগে উঠে ঘর থেকে বাহির হতে গিয়ে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকানো থাকায় ডাকাডাকি করলে পাশের বাড়ি থেকে তাদের মা এসে দরজা খুলে বাড়িতে প্রবেশ করে দেখতে পান আয়েশার মুখে কাপড় গোঁজা ও বিবস্ত্র মৃত দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে ।
এ ঘটনা দেখে সে চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন এসে পুলিশে খরব দেয় ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাঁচবিবি সার্কেল) ইশতিয়াক আলম জানান, সংবাদ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসি । প্রামথিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে । তবে ময়না তদন্ত রিপোর্টের পর হত্যার কারণ ও আসামীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।