#নয়াদিল্লি: ভারতের নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলল ‘দি ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ (IAMAI)। Facebook, Google-এর মতো টেক জায়ান্টরা রয়েছে এই ভারতীয় সংগঠনে। কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তারা তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে।
ভারতের নতুন এই সাইবার নিরাপত্তা আইন (Cyber security rule) এ মাসের শেষ থেকে চালু হয়ে গেলে এক নিতান্ত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছে সংগঠন।
ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ‘দি ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ (The Indian Computer Emergency Response Team বা CERT-In) জারি করেছে এই নতুন নিয়ম। এর আওতায় তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে তাদের বিভিন্ন ধরনের ডেটা ছয় ঘণ্টার মধ্যে জমা দিতে হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রকের কাছে জমা দিতে হবে ছ’মাসের আইটি এবং কমিউনিকেশন লগ।
আরও পড়ুন – এর লাভজনক অফার, একবার রিচার্জ করে সারা বছর কলিং, ডেটা ফ্রি!
সূত্রের খবর, IAMAI এই ছয় ঘণ্টার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে। তাদের দাবি সারা বিশ্বে এ ধরনের তথ্য জমা দেওয়ার সময়সামী ৭২ ঘণ্টা ধরা হয়। এর আগে ২৬ এপ্রিল CERT জানিয়েছিল ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডার (VPN), ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডারদের পাঁচ বছরের তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করে রাখতে হবে। এর মধ্যে থাকবে নাম, ইমেল আইডি, যোগাযোগের নম্বর, আইপি অ্যাড্রেস-সহ অন্য তথ্য। কেন্দ্রের দাবি এর ফলে সাইবার অপরাধের সঙ্গে লড়তে সুবিধা হবে। কিন্তু এ ধরনের পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলি এই নিয়ম মেনে কাজ করতে পারবে না বলেই জানা গিয়েছে। কারণ তথ্যের গোপনীয়তাই VPN-এর মূল বৈশিষ্ট্য। সে কারণেই তার জনপ্রিয়তা।
কেন্দ্রকে দেওয়া এক চিঠিতে IAMAI দাবি করেছে যে, এই নিয়ম মেনে কাজ করতে গেলে তাদের খরচের পরিমাণ বেড়ে যাবে বহুগুণ। পাশাপাশি তারা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, আইনভঙ্গ করলে যে পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে বা যে শাস্তি হতে পারে বলে সরকার জানাচ্ছে তার প্রেক্ষিতে এ দেশে ব্যবসা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে।
এপ্রিলের পর থেকেই কিছু VPN সংস্থা পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে। যেমন এক্সপ্রেস ভিপিএন (ExpressVPN) তাদের ব্যবসা ইতিমধ্যেই এ দেশ থেকে গুটিয়ে ফেলেছে। একই পথে পা বাড়িয়েছে নর্ডভিপিএন (NordVPN)-ও।
আরও পড়ুন – WhatsApp দিয়ে কী ভাবে ব্যবহার করবেন Digilocker? দেখে নিন এক নজরে
তবে এই প্রথম নয়, গত সপ্তাহের শুরুতেও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল ১১টি প্রযুক্তি সংস্থার সংগঠনটির তরফে। সেখানে তারা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ভারতের নতুন আইন মেনে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব। ইউএস চেম্বার অফ কমার্স এবং ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল-সহ ১১টি গোষ্ঠী জানিয়েছে, ভারতের কঠোর মনোভাবের কারণে আগামী দিনে সে দেশে ব্যবসা করার পরিসর কমে আসতে পারে।
কেন্দ্রকে দেওয়া চিঠিতে সই করেছে ফেসবুক, গুগল, অ্যাপল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের মতো সংস্থা। রয়েছে এশিয়া সিকিউরিটিজ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাঙ্ক পলিসি ইনস্টিটিউট, বিসিএ, কোয়ালিশন টু রিডিউস সাইবার রিস্ক, সাইবারসিকিউরিটি কোয়ালিশন, ডিজিটাল ইউরোপ, ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি কাউন্সিল, টেকইউকে, ইউএস চেম্বার অফ কমার্স, ইউএস ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল এবং ইউএস ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cyber Security