সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কোনো পাল্টাপাল্টিতে নেই। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে আছি, থাকব। আপ টু ইলেকশন আমাদের প্রতিদিন কর্মসূচি আছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে শুরুতে তিনি একথা বলেন। পরে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত টিমের নেতৃত্বে বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিএনপির চার দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মসূচি থাকবে কিনা?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা কোনো পাল্টাপাল্টিতে নেই। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে আছি, থাকব।’
বিএনপি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনায় বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি থাকবে। আমরা পাল্টাপাল্টিতে যাব না। গতকাল তারা (বিএনপি) সরকারবিরোধী সমাবেশ করেছে। আমরা ২৪ জানুয়ারির আলোচনা সভা করেছি। আমরা শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে।’
বর্ধিত সভায় আগত নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরও বলছি রাজপথ ছাড়বেন না। শহর ছাড়বেন না। সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে। প্রতিদিন কর্মসূচি থাকতেই হবে। একদম উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকতেই হবে। কোনো অপশক্তিকে আমরা আগুন নিয়ে খেলতে দেব না এ বাংলার মাটিতে, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে। এই শপথ বাক্য আজ মনে মনে উচ্চারণ করে যাবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের খালি মাঠ দিয়ে দেব, আগুন সন্ত্রাস করবে? পরিবহন ভাংচুর করবে, বিদ্যুৎ স্টেশন জ্বালিয়ে দেবে? তারা রেলস্টেশন, রেললাইন পুড়িয়ে দেব, রাস্তার দু’পাশ থেকে সবুজ গাছগুলো কেটে ফেলবে? এই সুযোগ আমরা দেব না, পরিষ্কার কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা গণতন্ত্রের পথে কখনো চলে না। তারা আন্দোলন করতে চায় সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কায়দায়। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’ এজন্য আগামী দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেংসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা, মহানগর ও উপজেলা পৌরসভার নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম