#নয়াদিল্লি: দুপুর এবং রাতেই পেট পুরে খাওয়া হয়। তবে আরও দুবার হালকা খাওয়াদাওয়া চলে, সেটা সকাল এবং সন্ধ্যার জলখাবার। অর্থাৎ দিনে ৪ বেলা খাওয়াদাওয়া। অনেকের আবার চলতে ফিরতে মুখ চলে। সব মিলিয়ে বলা যায় খিদে পেলে খাওয়াই অভিরুচি। কিন্তু এটা কি শরীরের জন্য আদৌ ভাল?
শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য কী খাওয়া হচ্ছে সেটা দেখার পাশাপাশি কতবার খাওয়া হচ্ছে সেটা নজরে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, হজমের জন্য পাকস্থলীকে সময় দিতে হয়। তাই খিদে না পেলে খাওয়া উচিত নয়। যদি কেউ দিনে ৪-৫ বারের বেশি খাবারের থালা নিয়ে বসে পড়েন, তাহলেও দেখতে হবে যেন খিদে থাকে। সঙ্গে খাবার হতে হবে পরিমিত। আসলে দিনে কতবার খাওয়া উচিত, সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্যের উপর।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা বলছেন, যখন রোগ, ব্যাধি নিয়ে কেউ পরামর্শের জন্য আসেন, তখন অল্প অল্প করে দিনে ৪ থেকে ৫ বার খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাবার থাকবে পরিমিত। যাতে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ খিদে মেটে। সঙ্গে ডায়েটে রান্না করা শাকসবজি, শস্য, লেবু, মুসুর ডাল, বাদাম, বীজ, দুগ্ধজাত দ্রব্য বা উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধ, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
দিনে ৪ বার ভরপেট: যদি শরীরের গড়ন ইক্টোমর্ফ (অনিয়মিত ক্ষুধা-সহ পাতলা শরীরের গড়ন) বা মেসোমর্ফ (উচ্চ বিপাকীয় হার) হয় তাহলে দিনে ৪ বেলা খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়। খিদে পেলেই তাঁদের খেতে বলা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে পেট যেন ৮০ শতাংশ ভরে।
সূর্যাস্তের পরে ভারি খাবার না খাওয়াই ভালো। রাতে শোওয়ার অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। অনেকের আবার মাঝরাতে খিদে পায়। তাঁরা শোবার আগে উদ্ভিদভিত্তিক দুধের সঙ্গে এক চিমটে জায়ফল বা হলুদ গুলে খেতে পারেন। জলখাবারের বদলে ৪ বেলা খাবারেই সম্পূর্ণ ক্যালোরিকে ভাগ করে নিতে হবে।
দিনে ৩ বার ভরপেট: কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে দিনে ৩ বার খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। সকালে হালকা জলখাবার, দুপুর এবং রাতে ভরপেট খাওয়াদাওয়া। এর সঙ্গে রাতে খাবারের পর থেকে সকালের জলখাবারের আগে পর্যন্ত যাতে ১৪-১৬ ঘণ্টা পেট খালি থাকে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। যোগে এই ধরনের ব্যক্তিকে ‘রোগী’ বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022 Gold Price: উৎসবের মরশুমে বড় ধামাকা! লক্ষ্মীবারে শহরে ফের সস্তা সোনা
দিনে ২ বার ভরপেট: আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এই রুটিনে খাওয়াদাওয়া করাই আদর্শ। উভয় খাবারের মধ্যে ৬ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবধান রাখতে হবে। এতে শরীর খাবারগুলো সম্পূর্ণরূপে হজম, শোষণ এবং পুষ্টিকে একীভূত করার সুযোগ পায়। যে ব্যক্তি দিনে ২ বার খাবার খান, তাঁকে যোগে ‘ভোগী’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি ‘খাবার আস্বাদন করেন’।
দিনে ১ বার ভরপেট: যখন স্বাস্থ্য এবং বিপাকক্রিয়া সর্বোত্তম পর্যায়ে থাকে তখন দিনে একবার ভরপেট খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। এই ধরনের ব্যক্তিকেই ‘যোগী’ বলা হয়। এঁদের চিন্তা, বুদ্ধিবৃত্তি এবং আধ্যাত্মিক ক্ষমতা অনেক উচ্চ পর্যায়ের। দিনে একবার আহার শরীর হালকা রাখতেও সাহায্য করে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Health Care Tips, Health Tips