কোচবিহার: সন্ধ্যা নামলেই ফাস্ট ফুডের দোকান গুলিতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। ছোট থেকে বড় প্রায় সকলেই ফাস্ট ফুড খেতে খুব পছন্দ করেন। তবে চড়া দামের বাজারে যেখানে দশ টাকায় প্রায় কিছুই পাওয়া যায় না ঠিক মত। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কোচবিহারের শহরের মধ্যে এবার পাওয়া যাচ্ছে মাত্র দশ টাকায় এগরোল। কোচবিহার মরাপোড়া চৌপথী সংলগ্ন এলাকায় একটি রাস্তার পাশের ফাস্ট ফুডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এই এগরোল। এই এগরোল খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোচবিহার শহরের মানুষদের পাশাপশি বিভিন্ন মহকুমা শহরের মানুষেরাও ভিড় জমাচ্ছেন এই ফাস্ট ফুডের দোকানে। এই এগরোল খেতে রীতিমত লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন ক্রেতারা।
দোকানের কর্ণধার সুনীল বর্মন জানান যে, এই দোকান প্রায় ৫ থেকে ৬ বছর যাবৎ তাঁরা কোচবিহারের মধ্যে চালাচ্ছিলেন। তবে এতদিন পর্যন্ত তাঁদের দোকানের জায়গাটা ঠিক পছন্দের ছিল না তাঁদের। তবে এবার এই এলাকার দোকানের জায়গাটা তাঁদের পছন্দের হয়েছে। এই এলাকায় দোকান শুরু করেছেন তাঁরা ৮ থেকে ১০ দিন হয়েছে। সুনীল বর্মনের কথায়, ‘তবে ইতিমধ্যেই আমাদের দোকানের ১০ টাকা মূল্যের এগরোল এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যা বলার ভাষা নেই। প্রতিদিন মোট তিন পেটি ডিমের মানে মোট ৬৩০ টি ডিমের এগরোল তৈরি করে বিক্রি করছি আমরা। দোকানের মধ্যে সন্ধ্যার পর থেকে প্রচুর মানুষের ভিড় উপচে পড়ছে। কোচবিহারের পাশাপশি বাইরের মানুষেরাও ভিড় করছেন এই এগরোল খেতে।”
দোকানে এগরোল কিনতে আসা দুই ক্রেতা শিবা মাহাতো এবং প্রিয়ম আচার্য্য জানান, ‘কোচবিহারের মধ্যে বহু ফাস্ট ফুডের দোকান থাকলেও এতটা কম দামে কেউ ফাস্ট ফুড বিক্রি করেন না। তবে এই দোকানে মাত্র ১০ টাকায় এগরোল পাওয়া যাচ্ছে। এটা আজকের এই চড়া বাজারের সময়ে দাঁড়িয়ে বিরাট ব্যাপার।’ ইতিমধ্যেই লোকের মুখে মুখে এই দোকানের নাম ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সন্ধ্যার পর থেকে প্রচুর ভিড় থাকছে এই দোকানের মধ্যে। মূলত সেই কারণেই তাঁরাও এদিন এই দোকানের মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন এই এগরোল খেয়ে দেখতে।
Sarthak Pandit
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।