Last Updated:
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিএসএফ আছে বলেই নিশ্চিতভাবে ঘুমোতে পারছেন তাঁরা। তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে হাই অ্যালাট জারি করা হয়েছে। আর তাই বিএসএফের উপরেই ভরসা রাখছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদ: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আবহে সিঁদুরে মেঘ দেখা দিচ্ছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তগুলি নিয়েও। মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ খানিকটা এলাকা বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া। এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করেছে বিএসএফ। প্রয়োজন পড়লেই যাতে ব্যবহার করা যায়, তৈরি রাখা রয়েছে সব ব্যবস্থা। রাত হলেই মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্তে কড়া প্রহরা চলছে বিএসএফের পক্ষ থেকে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নিমতিতা, এমনকি জলঙ্গী, সাগরপাড়া, লালগোলা সীমান্তে চলছে কড়া প্রহরা।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এই তৎপরতা দেখে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামগুলিতে। আশপাশের গ্রামগুলিতে যাতে বাইরের কেউ সহজে ঢুকতে না পারে সেই কারণেই বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বিভিন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছে বিএসএফ।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা হল মুর্শিদাবাদ। সীমান্তের ওপারেই রয়েছে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মুর্শিদাবাদ জেলায় আন্তর্জাতিক সীমানা ১৪৩ কিলোমিটার। তার মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার রয়েছে স্থলভূমি। বাকি ৮০কিলোমিটার রয়েছে জলভূমি। জলভূমিতে রয়েছে গঙ্গা ও পদ্মা নদী। তবে স্থলভূমিতে বেশিরভাগ জায়গায় নেই কাঁটাতারের বেড়া। ফলে অনেক সময় রাতে সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশীরা ঢুকে পড়েন বিভিন্ন জায়গা দিয়েই। এছাড়াও যারা জিরো পয়েন্টে গিয়ে চাষের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাদের কে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এমনকি জিরো পয়েন্টে ফসল নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশী নাগরিকরা বলেই অভিযোগ থাকে চাষীদের। যদিও বর্তমানে এই সীমান্তে যারা চাষ করতে যেতেন তারা এখন অনেকটাই সুবিধা পেয়েছেন। পাকিস্তানের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে চিন্তিত নয় চাষীরাও। কয়েক মাস আগে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ সরকারের পরিবর্তন হওয়ার পরে নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে সীমান্তে জিরো পয়েন্টে। এখন অনেকটাই জিরো পয়েন্টের কাছে সরে গিয়েছে বিএসএফ। আর সেই কারণেই আতঙ্কিত নয় সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিএসএফ আছে বলেই নিশ্চিতভাবে ঘুমোতে পারছেন তাঁরা। তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে হাই অ্যালাট জারি করা হয়েছে। আর তাই বিএসএফের উপরেই ভরসা রাখছেন গ্রামের বাসিন্দারা। সীমান্তে বিএসএফ কড়া প্রহরা দেওয়ার কারণে নিশ্চিন্তে থাকছেন। বিএসএফ-এর ভরসাতে আছেন বলেই জানান গ্রামের বাসিন্দারা। ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধের মধ্যে বিএসএফ দিবারাত্র এখন কড়া প্রহরা দিয়ে চলেছেন সীমান্তে।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal