স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। পুরনো সমস্যার পাশাপাশি তার শরীরে নতুন রোগ শনাক্ত করেছেন চিকিৎসকেরা। সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রেস উইং থেকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর জানতে পেরে রোববার (২৪ অক্টোবর) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে এসেছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গেই আছেন তিনি।
এদিকে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) অবস্থা ভালো না। জ্বর আসে, কিডনির সমস্যা আছে, সুগার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আরও নানা জটিলতা আছে। এ জন্য আমরা সরকারকে বারবার বলেছি তাকে বিদেশে পাঠাব। কিন্তু সরকার কিছুতেই রাজি হচ্ছে না।’
শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুই সপ্তাহে তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তবে এ বিষয়ে পরিবার বা দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকেরাও কিছু বলছেন না। এ বিষয়ে কথা বলতে দলের উচ্চপর্যায় থেকে মানা আছে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার এক চিকিৎসক।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন।
বাসায় ফেরার পর করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া।
দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। করোনা মহামারির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়ছে।
সারাবাংলা/এজেড/একে