স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার ‘স্থায়ী’ মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি। এরই মধ্যে গণঅনশন, মানববন্ধন, সমাবেশ, স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে তারা। ‘বক্তৃতাসর্বস্ব’ এসব কর্মসূচির সঙ্গে এবার যোগ হলে খালেদা জিয়ার জন্য স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর ‘মুক্তির পংক্তিমালা’।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পড়েন- খালেদা ফেরদৌস (খোলরে তোরা ডোর), গোবিন্দ চাঁদ কুণ্ড (জাগোরে), শেখ মনিরুদ্দিন জুয়েল (সংগ্রামের বাংলাদেশ), মারুফ হোসেন (খালেদা জিয়ার সংগ্রাম), কাজী ফখরুল ইসলাম (আমার মাকে আনরে তোরা), মো. মিজানুর রহমান (গণতন্ত্রের মায়ের মুক্তি), মো. আহাসান উদ্দীন (ফ্যাসিবাদী গান), মো. রিফাত হোসেন মুসা (গণতন্ত্রের জননী), এ বি এম সোহেল রশিদ (বন্দিশালার চিঠি) ও আহমেদ সাইমুম (স্বদেশ মাতা)।
খালেদা ফেরদৌস তার “খোলরে তোরা ডোর” কবিতায় লিখেছেন ‘জাগো বীর, জাগো জিয়ার সৈনিক/ দেশমাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত কর/ ছড়িয়ে পড় দিগ্বিদিক/ জিয়ার সৈনিক’
গোবিন্দ চাঁদ কুণ্ড তার ‘জাগোরে’ কবিতায় লিখেছেন ‘মুক্ত করিতে বন্দিনী মাকে/পুরুষ সিংহ জাগোরে/নির্ভীক বীর জাগোরে/ আমজনতা জাগোরে’
এ বি এম সোহেল রশিদ তার কবিতায় লিখেছেন, ‘প্রিয় বাংলাদেশ/ কতদিন মানুষ দেখি না? দেখি না ভোরের নরম সূর্য/ কত দিন খুলতে পারি না গণতন্ত্রের জানালা/ কত দিন পারি না ত্রিশ লক্ষ্য শহিদের রক্তে কেনা বাংলাদেশের সৌন্দর্য’
সভামঞ্চে বসে দলীয় কর্মীদের লেখা এসব কবিতা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার ও রুহুল কবির রিজভী। পরে তারা তরুণ কবিদের অভিনন্দন জানান এবং কবিতাকে আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এ সময় ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার বলেন, ‘আজকে আপনারা যারা কবিতা লিখেছেন মনের আনন্দ এবং চিন্তাধারা থেকে যে আজকে উনার (খালেদা জিয়া) মুক্তি চাই, কেন চাই? এ তো আমার জন্য নয়, দেশের জন্য। এতগুলো লোক বাংলাদেশ আছে, উনি তো একজন। উনি কী ক্ষতি করতে পারেন? তার মুক্তি আশু প্রয়োজন। আপনাদের এই কবিতা হোক তার মুক্তির আন্দোলনের হাতিয়ার।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘মানব সেবাসংঘ’ নামের একটি সংগঠন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সঞ্জয় দে রিপন।
সারাবাংলা/এজেড/এমও