সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: নির্বাচন কমিশন শুধু একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানই নয়, সব রাজনৈতিক দলের রেগুলেটরি বডি বা রেফারির মতো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খারাপ খেলে অনেকেই রেফারিকে দোষারোপ করে। বিএনপির অবস্থাও সে রকম। খেলায় পরাজিত হয়ে কিংবা অংশ না নিয়ে রেফারিকে দোষারোপ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দলের এক বিবৃতিতে সার্চ কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষেদগার ও অবান্তর মন্তব্যের প্রতিবাদে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে রীতি-নীতির তোয়াক্কা না করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষেদগার করার জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন বলেও উল্লেখ করেছেন ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে মামলা এবং বিচারের যে দাবি মির্জা ফখরুল তুলেছেন তা গণতন্ত্রের রীতিনীতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থি।
পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপি নির্বাচনের মাঠে অংশ না নেওয়ার বা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা নিয়েছে; এহেন অপকৌশল নেওয়ায় কমিশনের দায়িত্ব পালনে যদি কোনো ব্যাঘাত হয়ে থাকে তার দায়ভার বিএনপিকেই নিতে হবে বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করে। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই কমিশনের প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। তাই কমিশনের প্রতি এমন অসৌজন্যমূলক আচরণ সংবিধান পরিপন্থি। যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেউ না কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারে। কিন্তু সে সংক্ষুব্ধতা প্রকাশের নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। সে পথে না গিয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ জাতীয় বিষদগার রাষ্ট্র, সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভিত্তিমূলে আঘাত।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই ক্ষমতায় থাকবে। সংবিধান সম্মতভাবে যথাসময়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্র পরিচালনায় থেকে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
সারাবাংলা/এনআর/একেএম