আলিপুরদুয়ার: কচু দিয়ে তৈরি হয় নানান রেসিপি। তবে শুধু কচু নয় কচুর শাকও কিন্তু বাঙালীর রসনাকে তৃপ্তি করে আসছে বহু বছর ধরে। ইলিশের মাথা দিয়েই হোক কিংবা ছোলা দিয়ে নিরামিষ কচুর শাক হলে গরম ভাতে আর বাঙালীর কী চাই? কিন্তু আপনি কি কখন কচু পাতার চাটনি খেয়েছেন? অনেকেই হয়ত জানা নেই এই পদের ব্যাপারে।এটি হল মুন্ডা জনজাতির অন্যতম প্রিয় একটি পদ।
এই খাবারটি তাঁদের ঐতিহ্য বহনকারী একটি খাবার। এই কচু পাতার চাটনি তৈরি করাতেও জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের আবেগ। কচু পাতা সংগ্রহ থেকে শুরু করে তা চাটনি বানানো খুবই পরিশ্রমের একটি কাজ, মুন্ডা জনজাতির মহিলারা এটি বানিয়ে থাকেন। মুন্ডা জনজাতির মহিলারা জানান কচু পাতার চাটনি তারা নিজেরাও খেতে পছন্দ করেন। শুধু তাই নয় অতিথির পাতেও তাঁরা রাখেন এই চাটনি।
আরও পড়ুন: হেরিটেজ ঘোষণা করা হল গোবরডাঙ্গার ৫ টি দর্শনীয় স্থানকে, খুশি এলাকাবাসী
জানেন কি কীভাবে তৈরি হয় এই কচু পাতার চাটনি? তা বিস্তারিত ভাবে জানালেন নিতু মুন্ডা। তিনি জানান, যেদিন কচু পাতার চাটনি তৈরি করা হয় সেদিন সকালবেলায় মাঠে গিয়ে কচু পাতা সংগ্রহ করেন তারা। কচু পাতার চাটনি তৈরি করতে কমপক্ষে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশটি কচু পাতার দরকার হয়।মানকচুর পাতা হলে আরও সুস্বাদু হয় এই রান্নাটি।এরপর তা ঘরে এনে গরম জলে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ডুবিয়ে রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত দেহ, পাশেই পড়ে রক্তমাখা হাতুড়ি! ভয়ঙ্কর কাণ্ড নরেন্দ্রপুরে
এই রেসিপিটি তৈরির সময় এই কচু পাতাগুলিকে গরম জল থেকে তুলে আবার ঠান্ডা জলে পরিস্কার করে ধুয়ে নেওয়া হয়। এরপর উনুনে কড়াই চাপিয়ে সরষের তেল দিয়ে কচু পাতা দিয়ে তা ঢেকে রাখতে হয় কিছুক্ষণ।
তিনি জানান, বেশি কিছু না,পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায় এই চাটনি। তবে অনেকক্ষণ কষতে হয় এটি। প্রায় ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে কষিয়ে কষিয়ে এই রান্নাটি তৈরি করা হয়। এই রান্নাটি রুটি দিয়ে খাওয়া যায়, ভাত দিয়েও। আবার অনেকে এমনি খেয়ে থাকেন এই চাটনি।
Annanya Dey
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Food