চুয়াডাঙ্গা:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির গণমিছিলের প্রস্তুতিকালে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরিফসহ ৮ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে শহরের
কোর্টমোড়-শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে ওই সড়ক নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ফলে বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক
রোকন, বিএনপি নেতা আবু হানিফ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব
খাঁন, কৌশিক আহম্মেদ রানা (৩১), মোঃ ইমরান (৩১) ও আরমান খান (২৪)
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গণমিছিলের প্রস্তুতি নিতে
শহরের কোর্টমোড়-শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন বিএনপির
নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয় বিএনপি নেতাদের।
সেখান থেকে আটক করা হয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের এই ৮ নেতাকর্মীকে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্নআহ্বায়ক (২) খন্দকার আব্দুর জব্বার
সোনাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয়
কর্মসূচির পালন করার প্রস্তুতি চলছিল। ওই কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশ সদস্যরা
দলের নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে তাদেরকে জোরপূর্বক আটক করে নিয়ে
যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান কাজল জানান,
আটককৃতদের মধ্যে রাজিব খাঁন বাদে বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা
(বিষ্ফোড়ক) আইনের মামলা আছে। ওই মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান জানান,
বিএনপির মিছিল থেকে হামলা, ভাঙচুর ও পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনার তথ্য
ছিল।