সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৪০
ঢাকা: শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। সব ভয়-ভীতি, হুমকি ও চোখ রাঙানি মোকাবিলা করে অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা পালিত হবে বলে আশা করছে দলটি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল পেজ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার দুর্গাপূজা এসেছে বাংলাদেশে একটি ভীতিকর অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পূজার অনুকূলে না থাকায় অনেকেই এবার পূজা অনুষ্ঠান বাতিল করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুরের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে, পূজা কমিটির কাছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। পূজার সময় মাইক বাজানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বিবৃতিতে বলছে, এ রকম নানাবিধ ভয়-ভীতি অতিক্রম করতে হচ্ছে প্রতিটি সনাতন ধর্মের মানুষকে। এগুলো ঘটছে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের সামনেই। এগুলো দেখভাল করার মতো কেউ নেই। ফলে সনাতন ধর্মের মানুষেরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এই আতঙ্কের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। এ রকম পরিস্থিতিতে অনেকে জীবন বাঁচাতে দেশত্যাগেও বাধ্য হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ বলছে, এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে, পূজা চলার সময়ে মন্দির কিংবা পূজারি আক্রান্ত হতে পারে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের প্রাক্কালে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, এবারের ঘটনার মাত্রা তার চেয়েও ভয়াবহ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতও ক্ষমতাসীন হয়ে এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের ওপর হিংস্র আক্রমণ করেছিল। এবারের ঘটনা সেই ভয়াবহ দিনগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।
সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে এসব ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবার তারাই (সরকার) মন্দির পাহারা দেওয়ার কথা বলছে। এটিও এ দেশের সনাতন ধর্মের মানুষের সঙ্গে এক ধরনের প্রহসন। বহু প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করে সনাতন ধর্মের মানুষ যারা এ দেশে রয়ে গেছে, তারা নিজেদের উদ্যোগেই পূজা করেছে। কখনো কোনো পাহারাদারের প্রয়োজন পড়েনি।
আওয়ামী লীগ বলছে, দলটির সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন যে ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। আওয়ামী লীগ সবসময় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অবিতর্কিত মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং কাজ করতে বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর